নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয় উপজেলায় মোগলের হাটে গত বুধবার ১৬ই ডিসেম্বর ২০২০ইং শ্রী নিরাঞ্জন কান্তি পালকে কিছু দুর্বৃত্তরা নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে। এই নির্মম হত্যার বিষয় প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশীরা অবগত করেন-স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মৃত শ্রী বিরেন্দ্র পালের পুত্র শ্রী নিরঞ্জন কান্তি পালের বংশীয় জমি সম্পত্তি এলাকার রাজনৈতীক ক্ষমতার প্রভাবে ভুমি দস্যূরা জাল দলিল পত্রের জোরে জোরদখল করলে নিরঞ্জন ও ছোট ভাই সুরেস তাহাদের বাধা দেয়। একপর্যায় উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ড ও মারামারি শুরুহলে সন্ত্রাসী ভূমি দস্যুরা দেশিয় হাতিয়ার দ্বারা নিরঞ্জন ও সুরেশকে নির্মম নির্যাতন করলে তাহারা গুরুতর আহত হয়ে লুটিয়ে পড়ে এবং তাহাদের আর্তনাদে প্রতিবেশীরা উপস্থিত হওয়ার আগেই সন্ত্রাসীরা মটোর সাইকেলে পালিয়ে যায়। লোকজন দু’জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন কিন্তু নিরঞ্জন মাথায় গুরুতর জখম ও রক্ত ক্ষরনের কারনে উন্নত চিকিৎসার জন্যে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অত্যন্ত দূঃজনক নিরঞ্জনের মস্তিকে গুরুতর আঘাৎ ও নিয়ন্ত্রনহীন রক্ত ক্ষরনের কারনে চিকিৎসরত রাত আনুমানিক ৯.০০ঘটিকায় মৃত্যু বরন করে ।এই নির্মম হত্যার বিষয় ভিকটিম পরিবার জানাযায় যে- শ্রী নিরঞ্জন কান্তি পাল মোগলের হাট রাস্তাবর্তী ২০শতাংশ পৈতৃক সম্পত্তির উপর এলাকার রাজনৈতীক ক্ষমতাশীন দলীয় কিছু ব্যক্তিরা লোভলালসা সৃষ্টি হয় এবং তাহারা সপিং সেন্টার তৈরীর জন্য সম্পত্তি ক্রয়ের চাপ সৃষ্টি করছিল । কিন্তু নিরঞ্জন মূল্যবান এই পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করতে রাজি না থাকায় ভূমি দস্যূ চক্ররা অনৈতীক পন্থায় ভূয়া দলিল ও রেকর্ড তৈরী করে বেআইনি ভাবে কারের বেড়া দিয়ে জমি দখল করে নেয়। সংবাদদাতা ভিকটিম পরিবার সদস্যদের কাছে হত্যাকারী ও সম্পত্তি জোর দখলদারদের পরিচয় জানতে চাইলে তাহারা অত্যন্ত ভীত ও আতঙ্ক প্রত্যহয়ে অপরাধীদের নাম পরিচয় জানাতে অসম্মতি জানায়। অতপর লাশ পরিদর্শক পুলিশ এবং রাঙ্গুনিয়া থানার ডিউটি অফিসারকে অপরাধের বিষয় জানতে চাইলে প্রশাসন তাৎক্ষনিক কোন মন্তব্য করতে রাজি নয় কিন্তু নিশ্চিত করেন যে প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য মোতাবেক ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের তৎপড়তা চলমান আছে এবং আরো নিশ্চিত করেন-ভিকটিম পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে মামলার তদন্ত গুরুত্বসহ পরিচালোনার মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা ও অপরাধীদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে।