স্টাফ রিপোর্ট: নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানা এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের কোয়ার্টারে তরুণীকে (২৩) ধর্ষণের ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মকবুল হোসেনকে (৩২) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার (৮ জানুয়ারী) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, ধর্ষণ মামলায় কারাগারে প্রেরণকৃত কনস্টেবল মকবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মোরতাহিন বিল্লাকে প্রধান করে তিনি সদস্যের বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেলে বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মোরতাহিন বিল্লাহ বলেন, ‘আমাকে প্রধান করে তিন সদস্যের বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবো।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মিজানুর রহমান পাঠানা জানান, শনিবার (৮ জানুয়ারী) ভিকটিম ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। রোববার (৯ জানুয়ারী) ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এর আগে গত ৭ জানুয়ারী সুধারাম মডেল থানা এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের কোয়ার্টারে এক তরুণীকে (২৩) ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেন ভোক্তভোগীর ওই নারীর মা। ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মকবুল হোসেনসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের পর ওই মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তারা হলেন, নোয়াখালী সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল (কং/২৬৪) মকবুল হোসেন (৩২), বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের সিএনজি চালক মো. কামরুল (২৫), সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান (৪৯) এবং বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের নুর হোসেন কালু (৩০)।