ভালোবাসার চূড়ান্ত রূপ হলো বিয়ে। কিন্তু এরপর? এরপর কি সেই গতানুগতিক সংসারজীবন নাকি নিজের ভালোবাসাকে আরও বেশি বাড়িয়ে তোলা? কী করবেন, সিদ্ধান্ত আপনাদের। তবে বেশিরভাগেরই অভিযোগ থাকে যে সম্পর্কের শুরুর সেই মাদকতা বিয়ের পরে মিলিয়ে যেতে থাকে। কারও কারও ক্ষেত্রে তো একে অন্যকে অসহ্য পর্যন্ত মনে হতে পারে!
কেন বিয়ের পরেও ভালোবাসা একইরকম থাকে না, কেন বাড়ার বদলে কমতে থাকে তা কি ভেবে দেখেছেন? এর বড় কারণ হলো হারিয়ে ফেলার ভয় না থাকা, সারাক্ষণ চোখের সামনে দেখে অভ্যাস হয়ে যাওয়া। তবে সবচেয়ে বড় কারণ হলো যেকোনো একজনের বা দুইজনের উদাসীনতা। থাকতে পারে আরও অসংখ্য কারণ। তবে বিয়ের পরে ভালোবাসার বন্ধন অটুট রাখতে চাইলে নিতে হবে সম্পর্কের যত্ন। করতে হবে কিছু কাজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ভালোবাসি, ভালোবাসি
প্রেমিক কিংবা প্রেমিকাকে সারাদিন ভালোবাসি বললেও বিয়ের পরে যেন মুখে অদৃশ্য জড়তা চলে আসে। তখন জীবনসঙ্গীকে ভালোবাসি বলাটাই আর হয়ে ওঠে না। বেশিরভাগই মনে করেন, তাকে তো ভালোবাসিই, একথা আবার বলতে হবে কেন! কিন্তু সবকিছু শুধু কাজ দিয়ে নয়, কথা দিয়েও প্রকাশ করতে হয়। বিয়ের পরেও ভালোবাসার কথা মুখে বলার প্রয়োজন থেকে যায়। তাকে প্রতিদিন অন্তত একবার করে কানে কানে বলুন, ‘ভালোবাসি’
মুভি দেখুন
দুজন মিলে একসঙ্গে মুভি দেখতে বের হতে পারেন। পাশাপাশি বসে পপকর্ন খেতে খেতে মুভি দেখতে গিয়ে আপনাদের পুরোনো দিনের কথা মনে যেতে পারে। হলে গিয়ে দেখা সম্ভব না হলে বাড়িতেই দেখুন। একসঙ্গে সময় কাটানো হবে, সম্পর্কও সুন্দর হবে।
তার জন্য কিছুটা সময়
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কাজের চাপও বাড়তে থাকে। তাই বলে যে প্রিয়জনের জন্য একেবারেই সময় রাখা যাবে না, তা কিন্তু নয়। আপনার একটুখানি প্রচেষ্টা থাকলেই তার জন্য তাকে সময় দেওয়া সম্ভব। একসঙ্গে সময় কাটালে অনেক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যাবে। ভালোবাসা কমার সুযোগ পাবে না।
উপহার দিন, চমক দিন
উপহার পেতে পছন্দ করেন না, এমন কোনো মানুষ নেই। উপহার দিয়েই মন জয় করা সম্ভব হয়। প্রিয় মানুষটিকে সাধ্যমতো উপহার দিয়ে চমকে দিন। বিয়ের পরে সে তো আছেই- এই অনুভূতি নিয়ে ফেলে রাখবেন না। তাকে বুঝতে দিন যে তিনি আপনার কাছে কতটা স্পেশাল। তাকে চমকে দেওয়ার জন্য আপনার ছোট ছোট প্রচেষ্টাও তাকে অনেক বেশি খুশি রাখবে। সম্পর্ক সুন্দর থাকবেই।
বেড়িয়ে আসুন
সময় এবং সুযোগ পেলেই দুজন মিলে বেড়িয়ে আসুন। হতে পারে তা পাহাড়, সমুদ্র, কোনো দর্শনীয় স্থান কিংবা আত্মীয়-পরিজনের বাড়ি। এতে করে দেখবেন আপনাদের মনে ইতিবাচক প্রভাব এসেছে। দুজন দুজনের সঙ্গে যত বেশি জড়িয়ে থাকবেন, ভালোবাসা ততই বাড়বে।