Thursday, November 21, 2024
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
Homeবাংলাদেশঅধ্যাপক সাইদাকে হত্যা করেন রাজমিস্ত্রি

অধ্যাপক সাইদাকে হত্যা করেন রাজমিস্ত্রি

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় জড়িত মো. আনোয়ারুল ইসলাম নামে এক রাজমিস্ত্রিকে গাইবান্ধা থেকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, নির্মাণসামগ্রীর টাকা ছিনিয়ে নিতেই অধ্যাপক সাঈদা গাফফারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন রাজমিস্ত্রি আনোয়ারুল।

আনোয়ারুল ইসলাম গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থানার বুজর্গ জামালপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। নিহত সাইদা গাফফার ঢাবির পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তার স্বামী প্রয়াত কিবরিয়াউল খালেকও ঢাবির শিক্ষক ছিলেন। সাইদা ২০১৬ সালে অবসরে যান।
আটক আনোয়ারুল ইসলাম

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ি জোনের সহকারী কমিশনার আবু সায়েম নয়ন জানান, সাইদা গাফফার কাশিমপুরের পাইনশাইল এলাকায় একটি ভাড়াবাসায় একা থেকে পাইনশাইল এলাকায় অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবাসন প্রকল্পে তাদের একটি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ করাচ্ছিলেন। গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর থেকে তার পরিবারের লোকজন মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অধ্যাপক সাইদার কোনো সন্ধান পাচ্ছিলেন না। পরদিন ১২ জানুয়ারি তার মেয়ে মোসা. সাহিদা আফরিন এ ব্যাপারে কাশিমপুর থানায় একটি জিডি করেন

তিনি আরও জানান, ওই শিক্ষিকার প্লটে নির্মাণাধীন বাসায় আনোয়ারুল নামে এক রাজমিস্ত্রি কাজ করেন। ১১ জানুয়ারি কাজ শেষে রাজমিস্ত্রি আনোয়ারুল ও তার সহকারীরা সকলেই প্রকল্প এলাকা ত্যাগ করেন। পরদিন সহকর্মীরা কাজে যোগ দিলেও আনোয়ারুল অনুপস্থিত ছিলেন। পরে জিডির তদন্ত করতে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্য এবং আনোয়ারুলের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গাইবান্ধা থেকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে শুক্রবার সকালে প্রকল্প এলাকার ঝোপের ভেতর থেকে সাইদা গফফারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

কাশিমপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্কর রায় জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ারুল স্বীকার করেছেন- ১১ জানুয়ারি বিকেলে কাজ শেষে নির্মাণসামগ্রী ও মালপত্র কেনার টাকা নিয়ে প্রকল্প এলাকা থেকে ফেরার পথে প্রকল্পের ভেতরে নির্জন এলাকায় তিনি অধ্যাপক সাইদা গাফফারের সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় সাইদা ডাকচিৎকার করলে গলার ওড়না চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর টাকা ছিনিয়ে নিয়ে রাতেই গাইবান্ধা চলে যান।

এসআই দীপঙ্কর আরও জানান, শুক্রবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাউদ ইফতেখার জহির বাদী হয়ে আটক আনোয়ারুল ইসলামকে আসামি করে কাশিমপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাঈদা গাফফারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর থানার পাইনশাইল এলাকার শিক্ষক আবাসন প্রকল্পের নির্জন স্থানে ঝোপের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় জড়িত মো. আনোয়ারুল ইসলাম নামে এক রাজমিস্ত্রিকে গাইবান্ধা থেকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, নির্মাণসামগ্রীর টাকা ছিনিয়ে নিতেই অধ্যাপক সাঈদা গাফফারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন রাজমিস্ত্রি আনোয়ারুল।

আনোয়ারুল ইসলাম গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থানার বুজর্গ জামালপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। নিহত সাইদা গাফফার ঢাবির পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তার স্বামী প্রয়াত কিবরিয়াউল খালেকও ঢাবির শিক্ষক ছিলেন। সাইদা ২০১৬ সালে অবসরে যান।
আটক আনোয়ারুল ইসলাম

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ি জোনের সহকারী কমিশনার আবু সায়েম নয়ন জানান, সাইদা গাফফার কাশিমপুরের পাইনশাইল এলাকায় একটি ভাড়াবাসায় একা থেকে পাইনশাইল এলাকায় অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবাসন প্রকল্পে তাদের একটি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ করাচ্ছিলেন। গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর থেকে তার পরিবারের লোকজন মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অধ্যাপক সাইদার কোনো সন্ধান পাচ্ছিলেন না। পরদিন ১২ জানুয়ারি তার মেয়ে মোসা. সাহিদা আফরিন এ ব্যাপারে কাশিমপুর থানায় একটি জিডি করেন

তিনি আরও জানান, ওই শিক্ষিকার প্লটে নির্মাণাধীন বাসায় আনোয়ারুল নামে এক রাজমিস্ত্রি কাজ করেন। ১১ জানুয়ারি কাজ শেষে রাজমিস্ত্রি আনোয়ারুল ও তার সহকারীরা সকলেই প্রকল্প এলাকা ত্যাগ করেন। পরদিন সহকর্মীরা কাজে যোগ দিলেও আনোয়ারুল অনুপস্থিত ছিলেন। পরে জিডির তদন্ত করতে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্য এবং আনোয়ারুলের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গাইবান্ধা থেকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে শুক্রবার সকালে প্রকল্প এলাকার ঝোপের ভেতর থেকে সাইদা গফফারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

কাশিমপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্কর রায় জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ারুল স্বীকার করেছেন- ১১ জানুয়ারি বিকেলে কাজ শেষে নির্মাণসামগ্রী ও মালপত্র কেনার টাকা নিয়ে প্রকল্প এলাকা থেকে ফেরার পথে প্রকল্পের ভেতরে নির্জন এলাকায় তিনি অধ্যাপক সাইদা গাফফারের সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় সাইদা ডাকচিৎকার করলে গলার ওড়না চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর টাকা ছিনিয়ে নিয়ে রাতেই গাইবান্ধা চলে যান।

এসআই দীপঙ্কর আরও জানান, শুক্রবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাউদ ইফতেখার জহির বাদী হয়ে আটক আনোয়ারুল ইসলামকে আসামি করে কাশিমপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments