বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:: আগামী ৩১ জানুয়ারি সিলেটের বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ইউনিয়ন নির্বাচনে বিএনপির সমর্থিত কোন প্রার্থী নেই। কারন বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তাই দল কাউকেই সমর্থন দেয়নি। স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন প্রার্থীরা। এক্ষেত্রে ইলিয়াস পত্মী তাহসিনা রুশদী লুনার মতামত নিয়ে আনারস প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি বলে সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও খাজাঞ্চি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং বর্তমান চেয়ারম্যান তালুকদার মো. গিয়াস উদ্দিন। রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় রাজাগঞ্জ বাজারে নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তালুকদার মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের আগে মনোনয়ন ফর্ম কেনার আগে ইলিয়াসপত্নী লুনা ম্যাডামের সাথে যোগাযোগ করেছি। তিনি বলেছেন দল যেহেতু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, তাই কাউকেই বিএনপি থেকে সমর্থন দেয়া যাবে না। তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে নির্বাচনের জন্য বলেছেন বলেই আমি তাঁর গ্রিণ সিগনাল পেয়ে মনোনয়ন দিয়েছি। মনোনয়ন বাতিলের দিন অব্দি আমি অপেক্ষা করেছিলাম যদি অন্য কাউকে দল থেকে বা ম্যাডাম নাম ঘোষণা করেন তাহলে নির্বাচনে অংশ নিতাম না। যেহেতু কারো নাম বলা হয়নি সেহেতু আমি আমার গ্রীণ সিগন্যাল পেয়ে গেছি।
তিনি আরও বলেন, এখন যারা ইউনিয়নে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিএনপির প্রার্থী দাবি করছেন বা তার পক্ষে গোঠা কয়েক নেতাকর্মি ভোটের মাঠে এসে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। তারা সাধারণ ভোটারদের বিভ্রান্ত করছেন। তারা ভোটারদের নিয়ে তামাশায় লিপ্ত হয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি ভোটারদের সচেতন হওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, ইউনিয়নে বিএনপির একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। আমার এই ভোট ব্যাংক নষ্ট করতে এবং আমাকে পরাজিত করতে মোটা অংকের টাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সাথে আতাত করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার পায়তারা করছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের তালুকদার গিয়াস চেয়ারম্যান বলেন, এবার ইভিএম মিশিনে প্রথমবারের মতো ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হবে। ইভিএম সম্পর্কে সাধারণ ভোটারদের কোন ধারণা নেই। এজন্য তিনি অন্তত দুইদিন ইউনিয়নের প্রতিটি সেন্টারে দুইদিন মক ভোট হওয়া জরুরী। আর ইভিএমের ভোটেও সচ্ছতা নেই এমন শঙ্কা জানিয়ে তিনি সচ্ছ ও নিরপেক্ষ একটি ভোট উপহার দেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচনের তিনদিন আগে আমাকে পুলিশী হযরানী করতে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার কথা ছিল কিন্তু আমার দলের অন্য প্রার্থীর সমর্থকরা আমার পোস্টার ছিড়ে আচরণ বিধি লঙ্গন করছে।
তিনি আরও বলেন, ইউনিয়নের ৭০ ভাগ ভোট আমার পক্ষ রয়েছে। আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অনেকেই হয়েছেন। তাদেরকে এলাকার ভোটাররা চিনেন না। যদি কোনো ধরণের ভোট কারচুপি না হয় তাহলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।
মতবিনিয়মকালে উপস্থিত ছিলেন, এলাকার মুরব্বি ওয়াব উল্ল্যাহ, জমসেদ আলী, আশিক মিয়া, সংগঠক শরীফ আহমদ রাজু, মোজাহিদ আলী, নজরুল ইসলাম, মিরাজ মিয়া, পাবেল আহমদ, রুবেল আহমদ, কবির আহমদ, আরজু মিয়া, সাজ্জাদুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, খাজাঞ্চি ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোটগ্রহণ আগামী ৩১ জানুয়ারি। এই ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২২ হাজার ৫১৭। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৭০১, নারী ভোটার ১০ হাজার ৮১৬। কেন্দ্র সংখ্যা ১৩টি, বুথ সংখ্যা ৬০টি। খাজাঞ্চী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪জন, সদস্য পদে ৪৩জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১১জন অংশগ্রহণ করছেন।