আন্দোলনে অর্থ জোগানের অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে সিলেট মহানগর পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর রাতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এর আগে ঢাকা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই ৫ জনকে সিলেট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আটকৃকতদের কিছুক্ষণ আগে রিসিভ করা হয়েছে। আন্দোলনে অর্থ জোগানের অভিযোগে মামলা দায়েরর পর তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আটককৃতরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর থানার দাড়িপাকা গ্রামের মতিয়ার রহমান খানের ছেলে হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার লক্ষীকোলা গ্রামের মুইন উদ্দিনের ছেলে রেজা নুর মুইন (৩১), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা উপজেলার ১২৫/১১ ছাত্তার বিশ্বাস রোডের মিজানুর রহমানের ছেলে এএফএম নাজমুল সাকিব (৩২), ঢাকার মিরপুর ১৭/৩ ব্লক-বি জব্বার হাউসিং মাজার রোডের একেএম মোশাররফ হোসেনের ছেলে একেএম মারুফ হোসেন (২৭), কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার নিয়ামতপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৭)।
পুলিশ সূত্র জানায়, তাদের গত দুই দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টার।আর সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ সন্ধ্যা ৭টায় যুগান্তরকে বলেন, শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতের চেষ্টার অভিযোগে ৫ সাবেক শিক্ষার্থীকে ঢাকায় আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইননুসারে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে অর্থ লেনদেনের কারণে ব্যাংক, বিকাশ, রকেট ও নগদের ৬টি অ্যাকাউন্ট বন্ধের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া যেসব সাবেক শিক্ষার্থী আন্দোলনে অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন তাদের অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সাবেক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।