আবার হঠাৎ আলোচনায় অনেক দিন ধরে আড়ালে থাকা ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। ‘চারিদিকে শক্র’ অভিনেত্রীর সাড়ে ৫ মিনিটের একটি ভিডিওবার্তা ভাইরাল চলচ্চিত্রের বিভিন্ন গ্রুপে। যেখানে শিল্পী সমিতির সদ্য বিদায়ী কমিটির এক নেতার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ করেছেন তিনি। ভিডিওবার্তায় পপি বলেন, ‘ভেবেছিলাম আর কখনোই ক্যামেরার সামনে আসব না। কিন্তু একজন শিল্পী হিসেবে এবং নিজের কিছু দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আজকে কিছু কথা না বললেই না।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমান শিল্পী সমিতির একটি মাত্র লোকের কারণে, তার পলিটিক্স এবং তার অনেক রকম অসহযোগিতার কারণে আমাকে বারবার অপমানিত হতে হয়েছে। শুধু আমি না, আমার মতো রিয়াজ, ফেরদৌস, পূর্ণিমা, নিপুণও অপমানিত হয়েছেন। আমাদেরকে ব্যবহার করে যে এই চেয়ারটিতে বসেছে- সেখানে বসেই বিভিন্ন রকমের অপকর্মের চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা গুটি কয়েক তাতে সাঁয় দিইনি। যার কারণে আজকে আমি ভিক্টিম। আমার মতো শিল্পীকে সদস্যপদ বাতিলের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। এতো বছর কাজ করার পর এমন আচরণ, একটা শিল্পীর জন্য কতোটুকু অপমানের-সেটা আমি বুঝতে পারি। ১৮৪ জন শিল্পীও এই কষ্টটা বুঝতে পারবে।’
পপির ভাষ্য, ‘এই নোংরামির জন্য, আমার মানসম্মানের ভয় ছিল, আমার জানের ভয় ছিল। সব কিছু মিলে আমি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি। আমার কাছে সদস্যপদ বাতিলের চিঠিটা এখনও আছে। ওই চিঠিটা যখনই পেয়েছি, তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি- এই নোংরামির মধ্যে আর আমি যাব না। ভেবেছি, কখনো যদি পরিবেশ ভালো হয়- তখনই চলচ্চিত্রে ফিরব।’
সেই নেতাকে ঠেকাতে এবারের শিল্পী সমিতি নির্বাচনে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলকে ভোট দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন জনপ্রিয় এই নায়িকা। তার কথায়, ‘আমরা যে ভুলটা করেছি, দয়া করে আপনারা সেই ভুলটা করবেন না। চলচ্চিত্র বাঁচলেই আমরা বাঁচব। আমরা পরিবর্তন চাই, কাজ চাই। সেজন্য আমার কাছে মনে হয়েছে, আমাদের পরীক্ষিত সৈনিক কাঞ্চন ভাই, নিপুণ, রিয়াজদের একটা সুযোগ দেয়া উচিত। ভালো কাজের জন্য। তারা অন্তত শিল্পীর মূল্যায়ন করবে।’