আনহেল ডি মারিয়া হয়ে উঠলেন সত্যিকারের নেতা। শুরুতে এগিয়ে দিলেন দলকেও। করোনার ধকল মাত্রই সামলে উঠায় ছিলেন না লিওনেল মেসি। করোনা পজিটিভ থাকায় ডাগ আউটে থাকতে পারেননি কোচ লিওনেল স্ক্যালোনিও। তাতে অবশ্য জিততে সমস্যা হলো না আর্জেন্টিনার। প্রতিপক্ষ চিলির মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটিতে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। আর্জেন্টিনার পক্ষে গোল দুটি করেছেন ডি মারিয়া ও লাউতারো মার্টিনেজ। পুরো ম্যাচে দু দলের ফুটবলাররা মিলে ফাউল করেছেন ৩৬টি, ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে ৯বার।
ম্যাচের শুরুতে কিছুটা চাপে থাকলেও সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেয় আর্জেন্টিনা। সপ্তম মিনিটেই পেয়ে যায় গোলের দেখাও। রদ্রিগো ডি পল বল বাড়িয়ে দেন ডি মারিয়ার দিকে। তার সামনে তখন প্রতিপক্ষে তিন ফুটবলার। তাদের এক রকম ফাঁকি দিয়ে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে দৃষ্টিনন্দন এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। ওই লিড অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখে পারেনি আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ২০তম মিনিটে স্বাগতিক চিলিকে সমতায় ফেরান বেন ব্রেন্টন দিয়াজ। মার্সেলিয়ানো নুয়েজের কাছ থেকে পাওয়া বলে দুরূহ কোন থেকে গোল করেন তিনি।
২৫ মিনিটে ডি মারিয়ার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া আরও একটি শট আটকে দেন গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো। ৩৪ মিনিটেও ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন রদ্রিগো ডি পলের শট। কিন্তু ফিরতি বল পেয়ে যান মার্টিনেজ। গোল করতে ভুল করেননি তিনি।
৩৭ ও ৩৮ মিনিটে দুটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি চিলি। পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় স্বাগতিকদের। বিরতি থেকে ফিরে দু দলই কিছুটা ছন্দহীন ফুটবল খেলতে থাকে। তবে ৮৪ মিনিটে এসে গোলের খুব কাছাকাছি ছিল চিলি।
কিন্তু এবার আর্জেন্টিনার ত্রানকর্তা হন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বেন ব্রেন্টনের হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন অ্যাস্টন ভিলা তারকা। হতাশ হতে হয় চিলিকে। শেষ পর্যন্তও বজায় থাকে সেটি।
এই জয়ে টানা জয়ের রেকর্ড ধরে রাখল আর্জেন্টিনা। ১৪ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুইয়েই থাকল তারা। ১৫ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে সাতে আছে চিলি। ব্রাজিল ১৪ ম্যাচে ১১ জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে।