বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সাবেক অর্থ সম্পাদক এমদাদুল হক খানের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সাবেক সহসভাপতি ও খাদ্য পরিদর্শক ‘সন্ত্রাসী’ মো. খোরশেদুল আলম মাসুদের সহযোগী ইয়াসিনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে মগবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাসা থেকে খোরশেদুল আলম মাসুদকে গ্রেফতার করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। শনিবার তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদ।
পুলিশ জানিয়েছে, ‘সন্ত্রাসী’ মাসুদ একজন সরকারি কর্মকর্তা। তাকে গ্রেফতারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি চাওয়ার পাশাপাশি তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। সন্ধ্যায় মাসুদকে গ্রেফতারের পর রাতে মগবাজারে অভিযান চালিয়ে তার সহযোগী ইয়াসিনকেও গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গত বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে মগবাজারের পেয়ারাবাগের নিজ বাসায় স্ত্রী সন্তানের সামনে এমদাদুল হক খানের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয় মাসুদের নেতৃত্বে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার এমদাদ বাদী হয়ে মো. খোরশেদুল আলম মাসুদের (৪০) নাম উল্লেখ করে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মগবাজারের ৬৩৬ নম্বর বাড়ির ২/বি ফ্ল্যাটটি প্রতি মাসে ১৮ হাজার টাকা ভাড়া ও ৪০ হাজার টাকা অগ্রিম বাবদ চুক্তিতে ৩ বছরের জন্য ফ্ল্যাটে উঠেন। ছয় মাস না পেরোতেই মালিকের স্বামী মাসুদ ফ্ল্যাট ছাড়ার জন্য চাপ দেন।
আহত এমদাদ জানান, খোরশেদ আলম মাসুদ ও তার সহযোগীরা বুধবার রাতে বাসার গ্যারেজে প্রবেশ করেন তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। পরে মাসুদসহ আরও ২-৩ জন বাসায় প্রবেশ করে। এমদাদের স্ত্রী দরজা খুললে স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এসময় মাসুদ ও তার সন্ত্রাসীরা এমদাদকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিয়ে রক্তাক্ত করেন।
হামলার শিকার এমদাদের ভাষ্য, মাসুদের স্ত্রীর কাছ থেকে আমি তিন বছরের চুক্তিতে বাসা ভাড়া নিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ মাসুদ আমাকে বাসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অন্যায় ভাবে চাপ দিতে থাকে। সে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। জিডির তদন্ত চলছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার উপর আকস্মিক হামলা চালিয়েছে মাসুদ ও তার সহযোগীরা।
সূত্র জানায়, মাসুদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় তিনি জেলও খাটেন। ক্যাসিনোকাণ্ডে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি বর্তমানে টাঙ্গাইলে একটি সরকারি ফার্মে কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।