ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষেদের জরুরি বৈঠক ডেকেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী সোমবার। জাতিসংঘে ওয়াশিংটনের প্রতিনিধি লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে ও দেশটিকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও জাতিসংঘ সনদের জন্য সুস্পষ্ট হুমকি। খবর এএফপি ও আলজাজিরার।
ইউক্রেন বিষয়ে শুক্রবারই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক ডাকতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এদিন পুতিন-ম্যাক্রোঁ গুরুত্বপূর্ণ আলাপের কারণে বৈঠক পিছিয়ে সোমবার বসার উদ্যোগ নেয় মার্কিন প্রশাসন। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের একটি হওয়ায় উত্থাপিত যেকোনো প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ার অধিকার রয়েছে রাশিয়ার। এর পরও লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড মনে করছেন, সবার সামনে রাশিয়ার কর্মকাণ্ড তুলে ধরা ও ইউক্রেনের প্রতি আগ্রাসী আচরণের জন্য ক্রেমলিনকে একঘরে করতে এটি একটি বড় সুযোগ।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় না রাশিয়া অন্য দেশ আক্রমণ করলে নিরাপত্তা পরিষদের কোনো সদস্য তা মেনে নেবে ও চুপচাপ বসে থাকবে। রাশিয়ার ভেটো ক্ষমতা থাকলেও আমরা যদি নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব উত্থাপন করি ও তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ জোট দেখাতে পারি, তবে তারা (রাশিয়া) বিচ্ছিন্ন অনুভব করবে। তবে বাইডেনের সতর্কবার্তার প্রতিক্রিয়ায় মস্কো বলেছে তারা ‘যুদ্ধ চায় না’। শুক্রবার এক রেডিও সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, রাশিয়া কিয়েভের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চাইছে না। তবে নিজেদের স্বার্থ ও নিরাপত্তা উপেক্ষিত হতে দেবে না।
ইউক্রেন ইস্যুতে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তোনিও বিঙ্কেনের সঙ্গে দেখা করবেন। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার লক্ষাধিক সেনা মোতায়েনের পর থেকেই যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যদিও রাশিয়া দাবি করে আসছে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য এসব সেনা মোতায়েন করা হয়নি।যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোর কাছে রাশিয়ার প্রধান নিরাপত্তা দাবি প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর পরিস্থিতি এখন আরও ঘোলাটে। রাশিয়ার দাবি ছিল, ইউক্রেনকে কখনোই ন্যাটোর সদস্য করা যাবে না। এছাড়া পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক কার্যক্রম সরিয়ে নিতে হবে। যদিও মস্কোর এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ওয়াশিংটন।