কুয়েতের যেসব নারীরা দেশটির সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চান, তাদের হিজার পরার পূর্বশর্ত পূরণ করতে হবে। কুয়েতের সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে গালফ নিউজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শেখ হামাদ জাবের আল আলী এই সিদ্ধান্ত জারি করেছেন। এদিকে তার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। এ ব্যাপারে সাংবিধানিক, আইনি এবং একাডেমিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক।
কুয়েতের আল কাবাস পত্রিকায় দেওয়া এক বিবৃতিতে সাংবিধানিক ও একাডেমিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জনসাধারণের পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের হিজাব পরার প্রয়োজনীয়তা কুয়েতের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। শর্তটির কোনো আইনি ভিত্তি নেই বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছেন তারা। এছাড়া সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য নারীদের অবশ্যই অভিভাবক বা স্বামীর অনুমোদন থাকতে হবে এমন সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেছেন তারা। ওই সিদ্ধান্ত আওকাফ মন্ত্রকের ফতোয়া কর্তৃপক্ষের একটি ফতোয়ার উপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে বলে গালফ নিউজ জানিয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে আদালত বাতিল করার আগেই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা।