সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতা এম. ইলিয়াস আলী এখনো নিখোঁজ। কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না তিনি আসলে কোথায়? নাকি তিনি গুমের শিকার হয়েছেন। পরিবার অবশ্য বিশ্বাস করে তিনি আবার ফিরে আসবেন। বিশেষ করে তার স্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার তাহসিনা রুশদীর লুনা। ১০ বছর হয়ে গেল ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের রহস্য এখনো উদ্ঘাটিত হয়নি। আসলে সেদিন কীভাবে, কোথা থেকে ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেয়া হয় তা নিয়ে মিডিয়ায় হাজারও খবর ছাপা হয়েছে। কিন্তু তার স্ত্রী লুনা কখনো মুখ খুলেননি। মানবজমিন অনুসন্ধান টিমের সদস্য কাজী সুমন তার মুখোমুখি হয়েছিলেন সম্প্রতি।
তার কাছে দিয়েছেন চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। এরই ভিত্তিতে আজকের এই প্রতিবেদন।
২০১২ সালের ১৭ই এপ্রিল। রাত তখন ১২টা। বনানী থানা থেকে একটি ফোন আসে জ্যেষ্ঠপুত্র আবরার ইলিয়াসের মোবাইলে। দৌড়ে মা তাহসিনা রুশদীর লুনার রুমে যান আবরার। কাঁচা ঘুমে আচ্ছন্ন মাকে ডেকে তোলেন। বলেন, পুলিশ জানিয়েছে আমাদের গাড়ি নাকি বনানী থানায়। তখনও স্বামী এম ইলিয়াস আলীর বিপদ আঁচ করতে পারেননি লুনা। অনেকটা স্বাভাবিক চিন্তা নিয়ে পুত্রকে বলেন, আমাদের ড্রাইভার আনসারকে ফোন দাও। পুত্র জানান, আনসারকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন লুনা বলেন, তাহলে তোমার বাবাকে ফোন দাও। উদ্বিগ্ন পুত্র জানান, বাবার ফোনও বন্ধ। পুত্রের জবাব পেয়ে দিশাহারা হয়ে যান লুনা। দু’জনের ফোন একসঙ্গে বন্ধ কেন? তখন থেকে নানা দুশ্চিন্তা তার মাথায় আসতে থাকে। লুনা বলেন, সঙ্গে সঙ্গেই বনানী থানার ঐ পুলিশ কর্মকর্তাকে ফোন করি। জিজ্ঞেস করি, গাড়ি থানায় গেল কীভাবে? তখন ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, টহল পুলিশ আমাদের জানিয়েছে, বনানীর ২ নম্বর সড়কের সাউথ পয়েন্ট স্কুলের সামনে একটি গাড়ি পড়ে আছে। পরে আমরা গাড়ি থানায় নিয়ে আসি। ফের ওই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে জানতে চাই, গাড়িটির মুখ কোনদিকে ছিল। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাসার দিকে মুখ করা ছিল। গাড়িতে চালক আনসার আলীর মোবাইলটি পাওয়া যায়।
কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একজন ছাত্রদল নেতা আসেন বাসায়। তিনি জানান, রাত পৌনে ১২টার দিকে গাড়িচালক আনসার আলী তাকে ফোন করে বলেন, তার মোবাইলে ব্যালেন্স নেই। দ্রুত কিছু টাকা পাঠানোর আকুতি জানান। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই লাইনটি কেটে যায়।
রাতেই আমি বিষয়টি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতাদের জানাই। কথা বলি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেও। খবর পেয়ে রাতেই বনানীর বাসায় ছুটে আসেন রিজভী আহমেদ, হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা। সম্ভাব্য সব সোর্সে খোঁজ লাগান তারা। ওদিকে রাতেই বনানীর বাসার চারপাশ ঘিরে রাখে র্যা ব-পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। ততক্ষণে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের খবর চলে যায় মিডিয়ায়। সকাল হতেই গণমাধ্যম কর্মীরা ভিড় করেন বাসায়। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও আসেন বাসায়। ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করার আশ্বাস দেন।
স্বামীর খোঁজে আমি র্যাঁব সদর দপ্তর, ডিবি অফিসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দপ্তরে যাই। কিন্তু কোথাও তার হদিস মেলেনি। ইলিয়াস আলীকে গ্রেপ্তার বা আটকের বিষয়টি স্বীকার করেনি কোনো সংস্থাই। বাধ্য হয়ে স্বামী নিখোঁজের বিষয়ে বনানী থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। জিডি করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দ্বারা হামলার শিকার হন বিএনপি নেতারা। হামলা হয় আমাদের বনানীর বাসায়ও। এরপর বাসার সামনের সড়কে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে। মনিটর করা হয় আমাদের বাসায় যাতায়াতকারীদের।
এদিকে ঘটনার চারদিন পর র্যাীব সদর দপ্তরের মোশতাক নামে এক কর্মকর্তা যোগাযোগ করেন আমার সঙ্গে। ফোন করে শোনান আশার বাণী। ওই র্যাাব কর্মকর্তা জানান, আমাদের কাছে ইনফরমেশন আছে, উনাকে (ইলিয়াস আলী) পাওয়া যেতে পারে, আপনারা প্রিপারেশন রাখেন। এরপর ওই র্যারব কর্মকর্তা আরও একদিন ফোন করে একই কথা শোনান।
এর কিছুদিন পর ইলিয়াস আলীকে পাওয়ার আশার বেলুন ফুটো করে দেন ওই র্যাকব কর্মকর্তা। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমাদের কাছে যে ইনফেরমেশনটা ছিল সেটা এখন আর নেই। এই বিষয়ে আমরা আর কিছু বলতে পারছি না।
কয়েকদিন পর আমাকে জনৈক এক ব্যক্তি ফোন করে বলেন, ইলিয়াস আলী জীবিত আছেন। আপনি ইচ্ছে করলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। কীভাবে সাক্ষাৎ করা যায় সেটাও তিনি বলে দিলেন।
স্বামীর সন্ধান পেতে পরদিনই প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের সুযোগ চেয়ে আবেদন করি। অনুমতিও মেলে। আমার দুই পুত্র ও শিশুকন্যাকে গণভবনে ডাকেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় আমাকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপেক্ষা করো, ধৈর্য ধরো, বিষয়টি দেখছি। তখন আমার সন্তানদের মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কিছুদিন পর গাজীপুরের পূবাইল থেকে আমার মোবাইলে একটি ফোন আসে। এক নারী ফোন করে জানান, ইলিয়াস আলীকে পাওয়া যেতে পারে, দ্রুত পূবাইলে আসেন। বেশ কয়েকজন দলীয় নেতা ও র্যাওব কর্মকর্তা মোশতাকসহ দ্রুত যাই পূবাইলে। সেখানে যাওয়ার পর স্থানীয়রা জানান, একজন লোককে মাইক্রোবাসে করে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে ইলিয়াস আলীর সন্ধান আর পাননি।
এরপর আমার কাছে একটি উড়ো খবর আসে- মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে ইলিয়াস আলীকে ফিরে পাওয়া যেতে পারে। সেখানে র্যালব অভিযান চালায়। পরে আমি জানতে পারি, আমাদের বিভ্রান্ত করতেই এমন খবর রটানো হয়।
স্বামীর সন্ধানের জন্য উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হই। দায়ের করি রিট আবেদন। যোগাযোগ অব্যাহত রাখি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে। কিন্তু সব জায়গা থেকেই আসে হতাশার খবর।
ঘটনার কয়েক বছর পর আমার পরিচিত একটি ছেলে এসে আমাকে জানায়, সে এসআইয়ের ট্রেনিং করছিল। তখন তাদের যিনি ট্রেইনার ছিলেন তিনি লেকচার দেয়ার সময় ইলিয়াস আলীর বিষয়টি তুলেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাদের বলেন, ট্র্যাকিং করে আমরা ইলিয়াস আলীর সন্ধান বের করার চেষ্টা করেছিলাম। কোন জায়গা দিয়ে কোথায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু পরে আমরা সেটা করতে পারিনি নানা কারণে।
ওদিকে কয়েক বছর ধরে কিছুদিন পর পর বিভিন্ন অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর থেকে আমার কাছে ফোন আসে। তারা জানায়, আমাদের সঙ্গে সরকারের ওপর মহলের ভালো সম্পর্ক আছে। আমরা জেনেছি- ইলিয়াস আলী ভারতের একটি জায়গায় আছেন। আমরা তাকে খুঁজে বের করে দিতে পারবো। এ সময় তারা টাকা-পয়সা খরচ করার অফার দেন। জবাবে আমি তাদের বলি, আগে আমার স্বামীর সঙ্গে আমাকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেন। কথা বলতে পারলে বিশ্বাস করবো তিনি জীবিত আছেন। আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতেই এসব অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করা হয় এটা আমি নিশ্চিত।
স্বামী ইলিয়াস আলীর সঙ্গে শেষস্মৃতি তুলে ধরে লুনা বলেন, ২০১২ সালের ১৪ই এপ্রিল ছিল পহেলা বৈশাখ। ওইদিন তিনি নির্বাচনী এলাকা সিলেটের বিশ্বনাথে গিয়েছিলেন। ১৭ই এপ্রিল দুপুরে তিনি বনানীর বাসায় ফিরেন। অফিস থেকে বাসায় ফিরে দেখি, তিনি ঘুমাচ্ছেন।
দীর্ঘপথ জার্নি করে ক্লান্ত। তাই আমি তাকে আর ডাকিনি। সন্ধ্যায় বাচ্চাকে নিয়ে আমি মিরপুরে ডাক্তার দেখাতে যাবো তখন তিনি বলেন, আমিও যাবো তোমাদের সঙ্গে। কিন্তু আমি তাকে নিতে চাইনি। ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনের সেটাই ছিল আমাদের শেষ কথা। সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরে দেখি, ইলিয়াস আলী বাসার নিচতলার বৈঠকখানায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে গল্প করছেন। তখন আর কথা বলিনি। রাত ৮টার দিকে তিনি নিচতলা থেকেই বের হয়ে যান। কোথাও বের হলে সবসময় তিনি তাকে বলে যেতেন। কিন্তু বাসায় লিফট না থাকায় তিনি উপরে আর উঠেননি। পরদিন সকালে অফিস থাকায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন।
ইলিয়াসপতœী বলেন, আমাদের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ লোক অন্তত তিনজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বর্ণনা জানতে পেরেছি। ঘটনার সময় বনানী থানার একজন সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা পাশের জলখাবার হোটেলে খাচ্ছিলেন। বনানীর ২ নম্বর সড়কে সাউথপয়েন্ট স্কুলের সামনে কয়েকজন লোকের ধস্তাধস্তি দেখে ঘটনাস্থলে হাজির হন তিনি। ছিনতাইকারী ভেবে অপহরণকারীদেরই একজনকে পেছন দিক থেকে কলার চেপে ধরেন। তখন ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে অপহরণকারী সরকারের বিশেষ বাহিনীর পরিচয় দিয়ে আইডি কার্ড দেখান। অপহরণকারীরা ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ধমক দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সরে যেতে বলেন। পরে তিনি সেখান থেকে সরে যান।
ঘটনার সময় পাশের পার্কের বেঞ্চে ঘুমিয়ে ছিলেন ডাব বিক্রেতা সোহেল। চিৎকার চেঁচামেচির শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তার। এরপর তিনি দেখেন, একটি লোককে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছে চার ব্যক্তি। গাড়িতে উঠতে না চাওয়ায় ওই ব্যক্তিকে কিলঘুষি মারা হচ্ছিল। দীর্ঘ সময় ধস্তাধস্তির পর জোর করে তাকে গাড়িতে তোলা হয়। এ সময় ওই ব্যক্তি ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার করছিল। পরদিন সকালে জানতে পারি, বনানীর পার্কের পাশের সড়ক থেকে যে ব্যক্তিকে গাড়িতে তোলা হচ্ছিল, তিনিই বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী। গাড়িতে উঠিয়ে বনানী এক নম্বরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই সময় ঘটনাস্থলের পাশের ভবনের একজন নির্মাণ শ্রমিক পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন আমাকে। ওই নির্মাণ শ্রমিক জানান, ইলিয়াস আলীর গাড়ির পেছন দিকে কালো রঙের মাইক্রোটি ধাক্কা মারায় চালক ক্ষিপ্ত হয়ে নেমে যান এবং মাইক্রো চালকের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় মাইক্রো থেকে আরও ৪-৫ জন নেমে গিয়ে ইলিয়াস আলীর গাড়ির চালককে জোর করে ধরে মাইক্রোতে তুলে নিয়ে বেঁধে ফেলেন। পরক্ষণেই ৩-৪ জন নেমে গিয়ে প্রাইভেটকারে বসে থাকা ইলিয়াস আলীকেও ধরে গাড়িতে তোলার সময় ধস্তাধস্তির সৃষ্টি হয়। পরে তাকে আর ওই এলাকায় দেখা যায়নি।
কি কারণে তাকে অপহরণ করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে লুনা বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারবো না। তবে তিনি নিখোঁজ হওয়ার কয়েকদিন আগে সিলেটের দু’জন ছাত্রদল নেতা রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন। এজন্য তিনি ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। এ ছাড়া সিলেটের টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তিনি।
দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে স্বামীর খোঁজ নিতে নিতে হতাশ হয়ে পড়েছেন লুনা। বর্তমান সরকার ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করবে- সেটা আর তিনি বিশ্বাস করেন না। হয়তো যদি কোনোদিন সরকার পরিবর্তন হয় তখন বের করা যাবে, কারা কীভাবে ইলিয়াস আলীকে নিখোঁজ করেছে। তবে তিনি এখনো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, স্বামী জীবিত আছেন। কখনো তার মাথায় নেগেটিভ চিন্তা আসে না। দীর্ঘ এক দশকে স্বামীর জন্য দুশ্চিন্তা করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগ বাসা বেঁধেছে। স্বামীকে ছাড়াই একাই সন্তানদের মানুষ করছেন তিনি।
বড় ছেলে আবরার ইলিয়াস অর্ণব লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে দেশেই একজন সিনিয়র আইনজীবীর অধীনে প্র্যাকটিস করছেন। পাশাপাশি বাবার নির্বাচনী এলাকা সিলেটের বিশ্বনাথে যাতায়াত করেন। ছোট ছেলে সায়ার লাবিব গত বছর উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। একমাত্র মেয়ে সায়ারা নাওয়াল সম্প্রতি এসএসসি পাস করে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অপেক্ষায় আছেন।
সূত্র: মানবজমিন