ইউরোপে অভিবাসনের প্রত্যাশায় নৌকায় করে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে মারা যাওয়া ৭ বাংলাদেশীর মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওই ৭জনের মধ্যে জয় তালুকদারের মরদেহ দেশে আসছে আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারী। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিজ্ঞপ্তি মতে, জয় তালুকদারের মরদেহ ১০ই ফেব্রুয়ারী ইতালি থেকে রওনা দেবে। আগামী শনিবার বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে তার লাশবহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া কামরুল হাসান বাপ্পীর মরদেহ দেশে আসছে আগামী রোববার। এই দু’জনের স্বজনদের সঙ্গে দূতাবাসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। জয় তালুকদার ওরফে রতনের বাড়ি মাদারীপুরের সদর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের।
কামরুল হাসান বাপ্পীর বাড়িও মাদারীপুর সদর উপজেলায়। বাকি পাঁচজনের মরদেহ শিগগিরই দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়াও চলছে জানিয়ে রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, ২৫ শে জানুয়ারী লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপে যাওয়ার পথে অতিরিক্ত ঠান্ডায় ৭ বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়। দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, মারা যাওয়া ৭জন হলেন- পশ্চিম পিয়ারপুর গ্রামের ইমরান হোসেন, পিয়ারপুর গ্রামের জয় তালুকদার ওরফে রতন, ঘটকচর গ্রামের সাফায়েত, মোস্তফাপুর গ্রামের জহিরুল, কামরুল হাসান বাপ্পী, মাহমুদপুর গ্রামের সাজ্জাদ, ভৈরবের সাইফুল। এর আগে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, অবৈধভাবে নৌকাযোগে লিবিয়া থেকে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন একদল অভিবাসনপ্রত্যাশী। যাত্রাপথে ঠান্ডায় প্রাণ হারান ৭জন। ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, ওই নৌকায় যাত্রী ছিলেন ২৮৭ জন, তাদের মধ্যে ২৭৩ জনই বাংলাদেশী। ইতালিয়ান বার্তা সংস্থা এএনএসএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, জনবসতিহীন ইতালিয়ান দ্বীপ ল্যাম্পেদুসার উপকূল থেকে প্রায ৫০ কিলোমিটার দূরে নৌকাটিকে দেখতে পান কোস্টগার্ড সদস্যরা। নৌকায় ৩জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরে নৌকাটি বন্দরে ভেড়ানোর আগেই আরও ৪জনের মৃত্যু হয়।