ক্রমশই জটিল হয়ে পড়ছে ইউক্রেন পরিস্থিতি। সংকট ঘনিয়ে আসার সতর্ক বার্তা দিলেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও। সামরিক জোট ন্যাটোর হেডকোয়ার্টার্সে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ইউক্রেন সংকট এখন সবথেকে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে প্রবেশ করেছে। নিজেদের গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এই সতর্ক বার্তা দিয়েছেন তিনি। যদিও সাংবাদিকদের কাছে জনসন কিছুটা আশার বানীও শুনিয়েছেন। ব্রাসেলসে তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে আমি মনে করি যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুুতিন এখনো ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেননি। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
খবরে জানানো হয়, ক্রমশ ইউক্রেন সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে রাশিয়া। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন সেখানে এরইমধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার রুশ সেনা মোতায়েন করা হয়
এছাড়া আরও যেসব অস্ত্র মোতায়েন প্রয়োজন তার সবই সেরে ফেলেছে দেশটি। এখন শুধু পুতিনের একটি ইশারার প্রয়োজন। এ নিয়ে জনসন বলেন, খুব সম্ভবত এখনই এই সংকটের সবথেকে ভয়ানক সময়। আগামি কয়েক দিনের মধ্যেই গত কয়েক দশকের মধ্যে সবথেকে বড় নিরাপত্তা সংকটে পরতে যাচ্ছে ইউরোপ। একই ধরনের সতর্ক বার্তা দিয়েছেন ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টল্টেনবার্গও। তিনি বলেন, ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক সময় পার করছি আমরা। ইউক্রেন সীমান্তের রুশ সেনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যে কোনো সময় হামলা হতে পারে।
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা করে তাহলে সামরিকভাবে তা মোকাবেলা করবে না বৃটেন কিংবা ন্যাটো। তবে এ জন্য রাশিয়াকে ভয়াবহ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় পরতে হবে। এখানে একটি সংঘাত দুই দেশের জন্যেই ভয়ানক হবে। বক্তব্যে রুশ প্রেসিডেন্টকে সংঘাত এড়ানোর আহবান জানান জনসন। বলেন, আমি জানি যে রাশিয়া এখনো এমন একটি বিপর্যয়কর যুদ্ধে রুশ সেনাদের রক্ত ঝরানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। আমি বলতে চাই, এটিই সময় অন্য উপায় খুঁজে বের করার।
এসময় তাকে প্রশ্ন করা হয় যে, রাশিয়া আক্রমণ করলে বৃটেন ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেবে কিনা। উত্তরে জনসন ইঙ্গিত দেন যে বৃটেন হয়ত ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাবে যাতে তারা রুশ আগ্রাসন মোকাবেলা করতে পারে। তিনি বলেন, অস্ত্র পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে, আমি এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না।