স্টাফ রিপোর্ট:: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সুদক্ষ পরিচালনায় বাংলাদেশ জেন্ডারভিত্তিক সমতার স্বীকৃতি আদায় করেছে। নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে সরকার কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। সমগ্র বাংলাদেশে নারীবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রান্তিক নারী থেকে শুরু করে সবাইকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে নারী উদ্যোক্তা তৈরি এবং নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে আছে। দেশের অর্থনীতিতে নারীদের ভূমিকা অপরিসীম।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালে বাল্যবিবাহকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা যেহেতু জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি, তবে নারী নির্যাতন এবং বাল্য বিবাহও বন্ধ করতে পারবো।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সিলেটের উদ্যোগে সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
‘তোমরাই বাংলাদেশের বাতিঘর’ স্লোগানে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ভাচুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মির্জা ফরিদা পারভীন।
সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহের স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ পিপিএম, এসএমপি পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ, জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী এবং সৈয়দা জৈবুন্নেছা হক।
অসিত বরণ দাশ গুপ্ত ও প্রিয়াংকা দাস রায়ের যৌথ পরিচালনায় বিচারকমন্ডলীর পক্ষে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার আরশ আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপ-পরিচালক শাহিনা আক্তার।
সিলেট বিভাগের মোট ২০ জন জয়িতাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। তন্মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ট ৫ জন জয়িতা হলেন স্বর্ণলতা রায়, রাশেদা বেগম, মোছাম্মৎ রহিমুন্নেছা চৌধুরী, হোসনে আরা বেগম ও বীথিকা দত্ত। তাছাড়া রানার্সআপ ৫জন এবং জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত জয়িতার সংখ্যা ১০ জন।