স্টাফ রিপোর্ট:: সিলেটের বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কে ধীরগতির কাজে গত দুই বছর ধরে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দুই উপজেলার লাখ লাখ মানুষ। ধীরগতির কাজে জনসাধারণের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের মাঝেও ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুব্দ হয়ে আগামী জুন মাসের মধ্যে সড়কের কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আল্টিমেটাম দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া। সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে সড়কের অগ্রগতির কথা জানতে চাইলে তিনি একথা জানান। তবে, সাব-ঠিকাদার সুহেল খানের সাথে তিনদিন ধরে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জানাগেছে, সিলেটের বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কে গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হয় ২০২১ সালের ১০ মে। চলতি বছরের ১০ আগস্ট পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়ে দ্বিতীয় দফায় কাজ শুরু করা হলেও শেষ হচ্ছেনা ভোগান্তি। মাসখানেক পূর্বে পীরের বাজার থেকে বিশ্বনাথের সীমানা ৮ঘর পর্যন্ত ভালো সড়কের কার্পেটিং খোঁড়ে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি মাত্র ১৩ কিলোমিটার কাজে বছরের পর বছর পার করছেন কাজের সাব ঠিকাদার সুহেল খান। দীর্ঘ দু’বছরের ভেতরে একবার কাজের মেয়াদ শেষ হলেও শেষ হয়নি বিশ্বনাথ অংশের এই সংস্কার কাজ। কিন্তু বিশ্বনাথ অংশের ঠিকাদার তার মনগড়া সময় নিয়ে শুধু জনসাধারণকে ভোগান্তিই দিচ্ছেন। এরপর আর কোনো কাজ শুরু করা হয়নি। ফলে ওই খোঁড়া কার্পেটিং অংশে মালবাহী ট্রাক ধেঁবে গিয়ে ৬/৭ঘন্টা উভয় পাশে যাত্রীবাহী গাড়ি যানজটে আটকে থাকতে হয়। নিরুপায় হয়ে যাত্রীরা গাড়ি বদল করে গন্তব্যে যেতে হচ্ছেন। এছড়াও এ দুই বছরে চান্দশির কাপন থেকে বিশ্বনাথ পৌর শহর পর্যন্ত মাত্র এক কিলোমিটার আরসিসি ঢালাই কাজে জনবহুল এই সড়কটি তিনবার বন্ধ করা হয়েছে। ফলে যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া ও সময় ব্যয় করে আরও অতিরিক্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে বিশ্বনাথে প্রবেশ করতে হচ্ছেন। এভাবেই দীর্ঘ দু’বছরেরও বেশী সময় অন্তহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। দ্রুত কাজ শেষ করা না হলে সরকার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভাবমূর্তি নষ্ঠ হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। এদিকে, গত ২০১৯সালের ডিসেম্বরে একসাথে কাজ শুরু করে জগন্নাথপুর অংশের কাজ শেষ হয়েছে বেশ কয়েকমাস আগেই।