ভোজ্যতেল আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ ভ্যাট এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট কমছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। একইসঙ্গে ভোজ্যতেল উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে বলে জানান তিনি। সোমবার দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তেলের দাম কমবে কি না প্রশ্নে সাংবাদিকদের টিপু মুনশি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। দাম কমবে কি না ব্রাজিল বলতে পারবে। কারণ ৯০ শতাংশ তেল আমরা সেখান থেকে আমদানি করি। আমরা এক হাজার ৩৫০ ডলার দাম ধরে ১৬৮ টাকা প্রতি লিটার তেলার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। বর্তমাসে সে তেল এক হাজার ৯০০ ডলার হয়ে গেছে। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। এসআরও হলে পরে আমরা সঠিক দামটা বলতে পারব। আজ অথবা কালকের মধ্যে আশা করছি চিঠিটা আমরা পেয়ে যাব।
রমজান মাসে তেল মজুত না করার অনুরোধ জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজান উপলক্ষে সবাই ঘরে তেল মজুদ করতে শুরু করলে তো বাজারে ঘাটতি দেখা দেবে। যতটুকু কেনা দরকার ততটুকুই কিনুন। পাঁচ লিটারের জায়গায় ১০ লিটার কিনলে ঠেকাতে পারব না। সবার রান্নাঘরে তো আমরা ঢুকতে পারবো না। রমজান মাসের জন্য বেশি না কেনার অনুরোধ করছি।
রমজানে কোনো পণ্য সংকট নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ দ্রব্য মজুদ আছে। সেটা দিয়ে রমজান মাস পার হয়ে যাবে। কেউ কেউ মজুত করে রাখছে, সেটি বড় সমস্যা। আমরা চেষ্টা করছি রমজান পর্যন্ত আগের দামটা রাখার জন্য। কিন্তু ব্যবসায়ী ব্যবসা করবেই। বাইরের দেশের কোম্পানিগুলো রমজান বা ঈদে ডিসকাউন্টসহ বিভিন্ন অফার দেয়, আমাদের দেশে সেটি নেই।