নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও এক লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে নদীর সৈয়দপুর আল আমিন নগর কয়লাঘাট এলাকা থেকে ওই ভাসমান লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে সোমবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে মাঝনদী থেকে ‘এমএল আফসার উদ্দিন’ নামে ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চটি টেনে পাড়ে আনে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। তবে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারীরা লঞ্চটির ভেতরে তল্লাশি চালান। তারা জানান লঞ্চের ভেতরে কোনো লাশ নেই।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম জানান, সকাল ১০টার দিকে নদীর সৈয়দপুর আল আমিন নগর কয়লাঘাট এলাকা থেকে এক ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে সাতটি লাশ উদ্ধার করা হলো। তিনি জানান, নদীতে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের উদ্ধারে নদীর তলদেশে ও নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তলাশি করা হবে।
এদিকে এখনও কয়েকজন তাদের নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে নদীর পারে অপেক্ষা করছেন। নদীর দুপারেই নিখোঁজের স্বজনদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় উদ্ধারকৃত ছয়জনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে নৌপুলিশ। তারা হলেন— মুন্সীগঞ্জ সদরের উত্তর ইসলামপুরের ব্যবসায়ী জয়নাল ভূঁইয়া (৫৫), মুন্সীগঞ্জের সদরের আরিফা আক্তার (৩৫), তার ছেলে সাফায়েত (১৫ মাস), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সালমা বেগম (৪০), তার মেয়ে ফাতেমা (৭), মুন্সীগঞ্জ সদরের স্মৃতি (২০)।
এর আগে রোববার দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এমএল আশরাফউদ্দিন নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ প্রায় ৫০ যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সোয়া ২টার দিকে বন্দরের আল আমিননগরের বাংলা সিমেন্টঘাট এলাকায় এলে এমভি রূপসী ৯ নামে সিটি গ্রুপের একটি মালবাহী জাহাজ দ্রুতগতিতে অতিক্রম করার সময় যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে পেছনের দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় ১০-১৫ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠলেও অনেকেই নিখোঁজ হন।