উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের আধা পাকা ও কাঁচা বোরো ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে বেশ কয়েকটি ফসল রক্ষা বাঁধ। নতুন করে মাটি ভরাট করে পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলার হাওর উপজেলা ইটনার মসজিদ-মাদরাসা-মক্তব থেকে মাইকিং করে কৃষকদের জড়ো করা হচ্ছে। মাটি কাটার জন্য কোদাল এবং বাঁধে ব্যবহার উপযোগী টিন-কাঠ ইত্যাদি নিয়ে ছুটছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, উজান থেকে আসা অব্যাহত পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের এরশাদনগর শিবির, বড় বাজার, চিড়াগাঙ, বলদা ফেরিঘাট, কুলিভিটা এলাকার চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার উঠতি আধা পাকা ও কাঁচা বোরো জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে বেশ কয়েকটি ফসল রক্ষা বাঁধ।
ইটনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহাগ মিয়া জানান, ইতোমধ্যেই কয়েক হাজার হেক্টর বোরো ফসলের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়াও হালালের বাঁধ নামে ফসল রক্ষা বাঁধসহ জুর বিলের বাঁধ ও জিউলের বাঁধেও পাহাড়ি ঢলের প্রবল স্রোত আঘাত করছে।
তিনি আরও জানান, হালালের বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করতে পারলে এ উপজেলার সর্বনাশ হয়ে যাবে। আর এজন্য নতুন করে মাটি ভরাট করে হালালের বাঁধসহ অন্যান্য বাঁধ রক্ষায় এলাকার মসজিদ, মাদরাসা ও মক্তব থেকে মাইকিং করে বোরো চাষিদের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ইটনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, বিরামহীনভাবে নদ-নদী ও খাল-বিলের পানি হঠাৎ করে বেড়ে ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় এ উপজেলায় কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ছাইফুল আলম বলেন, পাহাড়ি ঢল ও অকাল বন্যায় জেলার হাওর উপজেলা ইটনার বোরো ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ ফসলি জমি তলিয়ে গেছে তা নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।