রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মেয়েদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্জেই ল্যাভলভের পরিবার ও প্রধান কয়েকটি ব্যাংকের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে বুচার শহরে রুশ বাহিনীর গণহত্যার অভিযোগ ওঠার পর নতুন করে এ পদক্ষেপ নিল যুক্তরাষ্ট্র। বুচার রাস্তায় মানুষের লাশ পড়ে থাকার ছবিও কয়েকদিন ছড়িয়েছে ইন্টারনেটে। তবে রাশিয়া বলছে, কিয়েভের কর্মকর্তারা এসব ছবি সাজিয়ে তুলেছেন।
বুচার ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সেখানে যুদ্ধাপরাধের চেয়ে কম কিছু হচ্ছে না। এর জন্য দায়ীদে বিচারে দায়িত্বশীল রাষ্ট্রগুলোকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, পুতিনের প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান হিসেবে তার মেয়ে ক্যাতেরিনা ভ্লাদিমিরোভনা তিখোনোভা এবং মারিয়া ভ্লাদিমিরোভনা ভরোন্তসোভার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলো।
এখানে তিখোনোভাকে দেখানো হয়েছে তিনি রাশিয়া সরকার ও প্রতিরক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তার বোন ভরোন্তসোভা রাষ্ট্রীয় অনুদানপ্রাপ্ত বিভিন্ন প্রোগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন; জেনেটিক রিসার্চ সংক্রান্ত কাজে যেগুলো ক্রেমলিন থেকে শত শত কোটি ডলার পেয়েছে আর এসব বিষয় পুতিন নিজে দেখাশোনা করেন।
বাইডেন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল কেন পুতিনের মেয়েদের এর ভেতর টানা হচ্ছে- জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, তারা তাদের বাবার সম্পদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমাদের মনে হয় পুতিনের অনেক সম্পত্তি তার পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে, এ কারণে আমরা তাদের টার্গেট করছি। এদিবকে, নতুন করে আট অলিগার্চ ও কয়েকটি ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য।