বাংলাপেইজ ডেস্ক:
পুলিশের সামনে ভারত থেকে ফেনসিডিল আমদানির জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ আজিজুল ইসলাম প্রধান।তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় উঠে।গত সোমবার ছিল লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানায় ওপেন হাউজ ডে।সভায় তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন,ভারত থেকে ৩৫ টাকায় ফেনসিডিল কিনে ৭০ টাকা ট্যাক্স নিয়ে ১০০ টাকায় বিক্রি করলেও ব্যবসা হবে।এতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির এ সদস্য,ঘটনার পর তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ভাইরাল হয়।লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
সকলের উপস্থিতে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য আজিজুল ইসলাম প্রধান। এসময় তিনি ফেনসিডিলের কারণে প্রতিদিন হাজার কোটি টাকা ভারতে পাচার হচ্ছে। তাই ফেনসিডিল আমদানি করে রাজস্ব আয় বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।পুলিশ-প্রশাসন ও জনসম্মুখে তার এই বক্তব্যের ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক ও সরপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম প্রধানের ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, সত্য বলবো তাতে জেল ফাঁস যা হয় হোক।ভারতে ফেনসিডিল মাত্র ৩৫ টাকা। এই ফেনসিডিলের কারণে প্রতিদিন হাজার কোটি টাকা ভারতে পাচার হচ্ছে। আমার তিন ছেলে মাস্টার্স পাস করেছে। তাদের নিষেধ করলেও গোপন জিনিসের ওপর আরও আগ্রহী হয়ে খাচ্ছে। ভারতে গিয়ে আমি নিজেও এক বোতল খেয়েছি,ঘুম ছাড়া কিছু হয় না।ভারতে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছি, দেশের তুষ্কা সিরাপের মতোই ফেনসিডিল।যাতে ঘুম ছাড়া কিছু নেই। অথচ এটার জন্য হাজার কোটি টাকা ভারতে পাচার হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিষয়টা বঙ্গবন্ধু কন্যার নজরে আনা যায় কিনা? ভারত থেকে ৩৫ টাকায় ফেনসিডিল কিনে ৭০ টাকা ট্যাক্স নিয়ে ১০০ টাকায় বিক্রি করলেও ব্যবসা হবে, রাজস্ব বাড়বে সরকারের। তাই বিষয়টি নিয়ে উচ্চ মহলে আলোচনা করা দরকার বলে দাবি করেন তিনি। তার এমন বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সবাই অট্টহাসিতে প্রতিবাদ জানান। এ সময় কৌশলে তার বক্তব্য থামিয়ে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি আদিতমারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম।এমন বক্তব্যে হতভম্ব হয়ে পড়েন খোদ প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা।কেএম/বাংলাপেইজ।