ঝড়ে ও বজ্রপাতে হবিগঞ্জে ও সুনামগঞ্জে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বজ্রপাতে পৃথক স্থানে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া ইউনিয়নের এড়ালিয়া গ্রামের শামসুল মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (২৬), একই উপজেলার কাতারী মহল্লার আক্কল আলীর ছেলে শিক্ষার্থী হুসাইন মিয়া (১২) ও জাতুকর্নপাড়া মহল্লার আব্দুর রহমানের মেয়ে জুমা বেগম (১৩)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন।
এদিকে, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ পড়ে এক নারী ও তার দুই সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার পাতলী ইউনিয়নের সুলেমানপুর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন হারুন মিয়ার স্ত্রী মৌসুমা বেগম (৩৫) ও তার মেয়ে মাহিমা আক্তার (৪) এবং ছেলে হোসাইন মিয়া (১)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুরে ২ নম্বর পাটলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সোলেমানপুরের লন্ডনপ্রবাসী বুলু মিয়ার বাড়িতে কেয়ার টেকার ছিলেন হারুন মিয়া। তিনি টিনশেড ঘরে বাস করতেন। আজ ভোরে কালবৈশাখী শুরু হলে একটি গাবগাছ ও আমগাছ উপড়ে তার ঘরের ওপর পড়ে।
এ সময় ঘরের ভেতর থাকা স্ত্রী মৌসুমা বেগম (৩৫), মেয়ে মাহিমা আক্তার (৪) ও ছেলে মো. হোসাইন (১) গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নারীর স্বামী মো. হারুন মিয়ার চাচাতো ভাই দৈনিক ভোরের কাগজের নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি ম. শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় তার চাচাতো ভাই মসজিদে নামাজ পড়তে যান। পরে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। ঝড় শেষে এসে তিনি এ ঘটনা দেখতে পান।