সাদামাটা ভাবেই বিয়ে সেরেছেন বলিউড তারকা রণবীর-আলিয়া। পরিবার-বন্ধুবান্ধব মিলিয়ে অতিথিদের তালিকায় ছিলেন ৫০ জন। যদিও ব্যক্তিজীবনে জাঁকজমকের কমতি নেই এই নতুন দম্পতির। রণবীর কাপূর এবং আলিয়া ভাট দু’জনেরই সম্পত্তির ঝলক দেখেই মাথা ঘুরে যেতে পারে।
‘বাস্তু’-র অভিজাত বহুতল ভবনের আট তলায় রয়েছে রণবীরের অ্যাপার্টমেন্ট। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ৩৫ কোটি টাকায় তা কেনা হয়েছে। অ্যাপার্টমেন্টের সাজসজ্জা করেছেন শাহরুখ খানের স্ত্রী গৌরী খান। বিয়ের অনুষ্ঠানের মতোই ছিমছাম অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরের সজ্জা। চারপাশে প্যাস্টেল রঙের ছোঁয়া। তাতে আস্ত একটি সিনেমাহল বানিয়ে ফেলেছেন রণবীর। সঙ্গে তার দু’টি পেট এনিমালের জন্য রয়েছে বিশাল জায়গা।
নিজের ‘লুক’ বজায় রাখতে একগাদা স্নিকার্সের মালিক রণবীর। কখনও ‘নাইকে এক্স’-এর ফ্যাকাসে সাদা স্নিকার্সে। কখনও আবার ঘুরছেন ওই ব্র্যান্ডেরই ‘এয়ারম্যাক্স-১ অ্যাটমস’ পরে। প্রথমটা কিনতে খরচ হয়েছে প্রায় পৌনে ৩ লাখ টাকা। আর পরেরটা দাম প্রায় লাখ টাকা। রণবীর বলেই ফেলেছেন, ‘আমি তো ‘স্নিকারহেড’। সাধারণত একসঙ্গে দু’জোড়া কিনি। ওই যে কথায় বলে না— ওয়ান টু রক, ওয়ান টু স্টক!’
স্নিকার্স ছাড়া দামি হাতঘড়িও পছন্দ রণবীরের। তার সংগ্রহে রয়েছে অমিতাভ বচ্চনের দেওয়া রিচার্ড মাইল আর এম ০১০-র মতো ঘড়ি। ৫০ লাখ টাকার ওই ঘড়ির যন্ত্রাংশ গ্রেড ৫ টাইটেনিয়ামের মতো হালকা অথচ শক্তিশালী ধাতু দিয়ে তৈরি। এছাড়াও রোলেক্স থেকে হাবলট— প্রায় সব দামি ঘড়িই তার আছে।
কাপূর খানদানের ছেলের কয়েকটি ভালো গাড়ি থাকবে না, তা কি হয়! রণবীরের গ্যারাজেও দামি গাড়ির অভাব নেই। সোয়া দুই কোটি টাকার ল্যান্ড রোভার রেঞ্জ রোভার ভোগ-এর ২০১৭ সালের মডেল কিনে ফেলেছেন তিনি। রণবীরের ওই এসইউভি-তে রয়েছে ৩.০ লিটারের ভি৬ ইঞ্জিন। ২৫০ হর্স পাওয়ারের মডেলটিতে রয়েছে ৬০০ এনএম টর্ক। প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০৯ কিলোমিটার গতি তুলতে সক্ষম এই গাড়ি।
একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, বলিউডের খুব তারকার কাছে মার্সিডিজ বেঞ্জ জি-৬৩ এএমজি মডেলটি রয়েছে। তাদের মধ্যে এক জন রণবীর। ৫.৫ লিটার ভি৮ ইঞ্জিনের এই দৈত্যের ভিতরে রয়েছে ৫৬৩ হর্স পাওয়ার। ৭৬০ এনএম টর্কের মার্সিডিজের এই মডেলটিতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ছাড়াও সাত স্পিডের অটোমেটিক ট্রান্সমিশন বা সানরুফ রয়েছে। মার্সিডিজ ছাড়াও অডি আর৮-এর মতো আরও একটি জার্মান গাড়িও আছে তার গ্যারাজে। রণবীরের মতো ‘বাস্তু’-তে আলিয়ারও একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। বিয়ের আগেই তা কিনেছিলেন মহেশ ভাটের মেয়ে। তবে তা রয়েছে ছ’তলায়। ২,৪৬০ বর্গফুটের ওই অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে আলিয়ার খরচ হয়েছে ৩২ কোটি টাকা।
অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনায়ও নেমেছেন আলিয়া। ২০২০ সালে ‘ইটার্নাল সানশাইন প্রোডাকশন’ নামে প্রযোজনা সংস্থা চালু করেন তিনি। ২,৮০০ বর্গফুটের সেই অফিসটির জন্য ২ কোটি খরচ করেছেন আলিয়া। মুম্বাইয়ের ভিড় থেকে দূরে একটি বাড়ির স্বপ্ন ছিল। সংবাদমাধ্যমের কাছে আলিয়া সে কথা বহু বার বলেছেন। এই ২৯ বছরেই তার সে স্বপ্নপূরণ হয়েছে। বান্দ্রায় অ্যাপার্টমেন্টের পাশাপাশি লন্ডনেও একটি বাড়ি কিনেছেন। সেই ২০১৮ সালে। বাগানঘেরা সে বাড়িতে মাঝেমধ্যে গিয়ে ওঠেন আলিয়ার ছোট-বোন। সংবাদমাধ্যমের দাবি, লন্ডনের বাড়িটির দাম প্রায় ৩২ কোটি টাকা।
রণবীরের মতো ল্যান্ড রোভার রেঞ্জ রোভার ভোগ গাড়িটি কিনেছেন আলিয়া। এই বয়সেই একটি বিএমডব্লিউ ৭ সিরিজের ৭৪০ এলডি মডেলের মতো দামি গাড়ির মালিক আলিয়া।
এই মুহূর্তে আলিয়া নাকি বলিউডের এক নম্বর নায়িকা। বলিপাড়ার অনেকেই এমন দাবি করছেন। এমন তারকার যে চকচকে একটি ভ্যানিটি ভ্যান থাকবে, তাই তো স্বাভাবিক। আলিয়ার বিশালাকার সে ভ্যানের দাম জানা যায়নি। তবে এটা জানা গিয়েছে যে আলোয়-আয়নায় সাজানো সে ভ্যানের ইন্টোরিয়র ডিজাইন করেছেন গৌরী খান।