রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ ঘটনার সূত্রপাত বিষয়ে জানা গেছে। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। ঘটনার শুরুতে ঢাকা কলেজের কোনো শিক্ষার্থী জড়িতই ছিল না। নিউমার্কেটের দুটি ফাস্টফুড দোকানের কর্মচারীদের বিবাদ থেকে এ সংঘাতের শুরু।
এ বিবাদে একপক্ষ আরেক পক্ষকে শায়েস্তা করতে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের ডেকে আনে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার রাত ১১টা ৩ মিনিটে রামদা হাতে সাদা টি-শার্ট পরা এক তরুণের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল নিউমার্কেটে প্রবেশ করে। হাতে রাম দা দেখে নিরাপত্তারক্ষী তা কেড়ে নেয়। এরপর তারা ওয়েলকাম ফাস্টফুডে ঢুকে সেখান থেকে বেরিয়ে ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের দিকে যায়। সেখানে দোকানের বাইরেই গণ্ডগোল শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর মার খেয়ে পালিয়ে যায় বহিরাগত তরুণরা।
তাদের মধ্যে কয়েকজন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন । তারা পালিয়ে যাওয়ার পরপরই তড়িঘড়ি করে ক্যাপিটাল নামের দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিপদ আঁচ করতে পেরে সে সময় মার্কেটের ৪ নম্বর গেট বন্ধ করে দেন দায়িত্বরত নিরাপত্তারক্ষীরা। নিউমার্কেট থেকে মার খেয়ে পালিয়ে যাওয়ারাই কিছুক্ষণ পর আরও লোকজন এনে মার্কেটে হামলা চালায়।
সূত্রে জানা গেছে, নিউমার্কেটের-৪ নম্বর গেটের মুখের দোকান ‘ওয়েলকাম’ও ‘ক্যাপিটাল’ নামের ফাস্টফুড দোকান দুটির মালিকরা আপন চাচাতো ভাই।
সোমবার সন্ধ্যায় ইফতার সামগ্রী বিক্রির টেবিল পাতে নিয়ে এ দুই ফাস্টফুডের কর্মচারীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু। এরইমধ্যে ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারী বাপ্পি, ক্যাপিটালের কর্মচারী কাওসারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরে বাপ্পির নেতৃত্বেই একটি দল এলেই বিবাদের শুরু।
নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কথা কাটাকাটির জেরে বাপ্পি তার ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী বন্ধুদের ডেকে আনে। তারা সেখানে সংঘর্ষে জড়ায়। পরে ক্যাম্পাসে গিয়ে তাদের মারা হয়েছে বলে আরও শিক্ষার্থী ডেকে আনে।
দোকান কর্মচারীরা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে খবর শুনে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হেলমেটধারী এক দল ছাত্র এসে ৪ নম্বর গেটে হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। রাত ১২টার দিকে ছাত্ররা ২ নম্বর গেট খুলে মার্কেটে ঢুকে কিছুক্ষণ ভাঙচুর করে আবার বেরিয়ে যায়। তখন থেকে মূলত ব্যবসায়ীসহ হকাররা ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।