বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি:
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা ও নিখোঁজ নেতা এম. ইলিয়াস আলীর সহধর্মিনী তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেছেন, বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিনত করেছে শেখ হাসিনার দুঃশাসন। চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকার কৌশলে তারা আজ গণতন্ত্রকে লুন্ঠিত করেছে। দেশকে দূর্ণীতির দেশে পরিনত করেছে। এখন দেশে বিএনপি দল করলেই আসামী হতে হয়, গুম হতে হয়। দেশের জনগণ এই দূর্ণীতি-দু:শাসন, অপ:শাসনের প্রতিকার চায়। তাই দেশের গণতন্ত্রকে আমাদেরকেই পুণরুদ্ধার করতে হবে। এজন্য বিএনপির সকল নেতাকর্মিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।আজ (১৯ এপ্রিল)মঙ্গলবার সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারের পাশে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক এম. ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়ী চালক আনছার আলীর ১০ বছর গুমের প্রতিবাদে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা, পৌর বিএনপির, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার পূর্ববর্তি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাহসিনা রুশদীর লুনা আরও বলেন, জনগনের নেতা এম. ইলিয়াস আলীকে ১০ বছর আগে আইনপ্রয়োগকারি সংস্থা গুম করেছে। এটা আর্ন্তজাতিক সংস্থা বলছে, কিন্তু তারা তা অস্বীকার করছে। তবে, সরকারকে জনগনকে একদিন জবাব দিতে হবে। সে সময় সামনে অপেক্ষা করছে। তিনি বলেন, দেশে ইলিয়াস আলীর মতো সাহসী নেতা কমই আছেন। এখনো ইলিয়াস আলীর জন্য হাজারো নেতা প্রাণ দিতে প্রস্তুত। কারন ইলিয়াস আলী ৫ বছর ক্ষমতায় থেকে বিশ্বনাথ বালাগঞ্জওসমানীনগরে যে উন্নয়ন করেছেন কিন্তু গত ১৫ বছরেও তার অর্ধেক উন্নয়ন হয়নি। বিশ্বনাথের উন্নয়নকে ফিরিয়ে আনতে ইলিয়াস আলীকে সরকারের গুম নামক কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে এবং আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে ও তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন। বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী ঈদের পরে সরকারকে উৎখাত করতে আমাদেরকে আন্দোলনে নামতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে আবার প্রধানমত্রী করতে হবে। তবেই এম ইলিয়াস আলীসহ সকল গুম হওয়া নেতাকর্মিদেরকে মুক্ত করতে হবে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া এবং পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশির আহমদের সাধারণ সম্পাদক যৌথ পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মখন মিয়া, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোজাহিদ আলী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী আব্দুল হাই, উপজেলা বিএনপির সাংগঠকিন সম্পাদক সুরমান খান, পেীর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান খালেদ, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শামসুল ইসলাম, সদস্য সাইদুর রহমান রাজু, পৌর যুবদলের আহবায়ক শাহজাহান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রাসেল আহমদ, সাদস্য সচিব ফাহিম আহমদ প্রমূখ। এসময় জেলা, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন বিএনপি,অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মি উপস্থিত ছিলেন।
