ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পারস্পরিক যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি করার উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন যোগাযোগ বৃদ্ধিতে দুদেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
এর আগে, দুপুরে বিশেষ বিমানে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। এসময় তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত দিয়ে সফরের কার্যক্রম শুরু করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের মধ্যে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিভিন্ন রুট নতুন করে চালু করার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে কানেকটিভিটি বৃদ্ধি পেলে লাভ হবে দুদেশেরই। ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম এবং ত্রিপুরা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে দু’দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে বলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান শেখ হাসিনা।
বৈঠকে তারা দেশদুটির মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়াও, প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা, কুশিয়ারা ও ফেনী নদীর পানি বণ্টন, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব আলোচনায় এসেছে।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের পর ফরেন সার্ভিস একাডেমীতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে। এসময় যৌথ প্রেস ব্রিফিং এ জয়শঙ্কর জানান, সুবিধাজনক সময়ে ভারত সফরের আমন্ত্রন পৌঁছে দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। ৭ম যৌথ পরামর্শক সভাও প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের আগেই হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, দুদেশ এখন সোনালী সম্পর্কের সময় পার করছে। এছাড়া আলোচনায় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রসঙ্গও এসেছে বলে জানান দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।