ঈদের দিন সকালে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় এক পশলা বৃষ্টির দেখা মিলেছে। সকালে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিরা যখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন হঠাৎই ঢাকার বুকে যেন আকাশ ভেঙে পড়ে।
কোথাওবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। ভ্যাপসা গরমে খানিক বৃষ্টি স্বস্তি যেমন দিয়েছে, তাতে বিশেষ বিঘ্ন ঘটেনি ঈদ জামাতেও।
সকালে সরেজমিনে রাজধানীর রামপুরা-বাড্ডা সড়কে দেখা যায়, রাস্তায় বেশ পানি জমে আছে। মুসল্লিরা ঈদ জামাতে অংশ নিতে মসজিদের দিকে এগোচ্ছেন। এদিন জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মোকাররমে ঈদের নামাজ আদায় করতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা সকাল থেকে আসতে থাকেন।
সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
ওইদিন আবহাওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রবিবার দিবাগত রাতে রাজধানীতে কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে। এ কারণে গত দুদিনের ভ্যাপসা গরমও কিছুটা কমেছে।
করোনা মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৮টায় প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণে এ ঈদ জামাত অনুষ্ঠির হয়েছে।