লন্ডন অফিস:যুক্তরাজ্যে সফরত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বলেছেন, সিলেট নগরীর উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজে সহযোগীতা বা কোন আইডিয়া শেয়ার করতে আসলে ব্রিটিশ বাংলাদেশী তরুনদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা সহ নিরাপত্তা দেবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।এছাড়াও প্রবাসীরা বিনিয়োগ করতে চাইলে তিনি সহযোগীতা করতে প্রস্থুত রয়েছেন।লন্ডনে বিবিসিসিআই’র এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন।সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার রাস্তাঘাট,পানি সমস্যা ও নগরীর আয়তন বৃদ্ধি নিয়ে প্রবাসীদের কাছে নিজের ভাবনা তুলে ধরেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কর্মাস এন্ড ইন্ডান্ট্রি।এতে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও সিনিয়র সাংবাদিক। সিলেটে প্রবাসী ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে মতবিনিময় সভায়।লন্ডন রিজিওয়নের প্রেসিডেন্ট এএইচএম নুরুজ্জামানের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিবিসিসিআই‘র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহিব উদ্দিন চৌধুরী।বক্তব্য রাখেন বিবিসিসিআই’র প্রধান উপদেস্টা প্রফেসর শাহগীর বখত ফারুক, ডায়রেক্টর জেনারেল সাঈদুর রহমান রেনু, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুকতাবিস উন নূর,লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাহাস পাশা,সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জুবায়ে,সিলেট চেম্বারের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহের আহমদ চৌধুরী, বিবিসিসিআই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড.সানাওয়ার চৌধুরী, ক্যানারিওয়ার্ফ কমিউনিটি এপেয়ার্স ড.জাকির খান, বিবিসিসিআই’র ফাইন্যান্স ডায়রেক্টর মনির আহমদসহ অনেকে।তার তার বক্তব্যে বিরোধী দলের মেয়র হয়েও উন্নয়নের স্বার্থে সিলেটের সকল রাজনৈতিক মহলের সম্প্রীতির প্রশংসা করেন মেয়র আরিফ।তিনি প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বর্তমান পররাষ্ট্মন্ত্রী ও পরিকল্পনার মন্ত্রীর সহযোগিতার প্রশংসা করেন।তিনি সিলেটে ভুগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারন সহ অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেন, সিলেট নগরীকে যানজটমুক্ত করতে পাইকারী দোকানগুলো সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।তিনি জানান, সিলেট নগরীর রাস্তা প্রশস্তকরনে প্রবাসীরা বিনামূল্যে যে জমি দান করেছেন, তার আনুমানিক মূল্য ১০ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা।এই জমি দানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেয়র বলেন,আমরা প্রবাসীদের সম্মান জানানোর উদ্যোগ গ্রহন করেছি।যাতে করে তাদের উত্তর সুরিরা জানতে পারে অবদানের কথা।এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের কাজকর্ম ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে,যাতে করে প্রবাসীরা এখান থেকে বাড়ি নির্মানসহ বিভিন্ন কাজের জন্য আবেদ করতে পারেন।শুধু এখানেই শেষ নয়,কাজ কোন অবস্থায় রয়েছে বা কোন অফিসারের কাছে আাছে তা এখান থেকে দেখতে পারবেন।