মোঃ রেজাউল করিম মৃধা:বৃটেনে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে।গত ১৭ই মে লন্ডনবাংলা প্রেসক্লাবের ইসি কমিটির সাথে হাইকমিশনারের সাথে মতবিনিময় সভা দূতাবাসের হল রুমে অনুষ্টিত হয়।লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এর সাথে প্রেস ক্লাবের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।আলোচনার এক পর্যায়ে প্রবাসীদের এনআইডি কার্ডের প্রসংগ এলে হাইকমিশনার এনআইডি কার্ডের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে নাম নিবন্ধন করতে প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান।হাই কমিশনার বলেন,”যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা যাতে এখানে বসেই তাদের এনআইডি কার্ড পেতে পারে সে লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সাথে তাঁর দফায় দফায় কথা চলছে।কমিশন যুক্তরাজ্য প্রবাসীদেরকে তাঁদের নাম রেজিস্ট্রি করতে আহবান জানিয়েছে।ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে ৬শ প্রবাসী তাদের নাম রেজিস্ট্রি করেছেন।যারা নাম রেজিস্ট্রি করবেন তাঁরাই সকলের আগে কার্ড পাবেন। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা যুক্তরাজ্যে আসবেন এবং লন্ডন,বার্মিংহ্যাম ও মানচেষ্টারে অস্থায়ী অফিস স্থাপন করে কার্ডগুলো প্রদান করবেন।তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে”অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ফর এনআরবি”নামে একটি পোর্টাল আছে।প্রবাসীদের প্রতি আমাদের আহবান, আপনারা যত বেশি বেশি পারবেন পোর্টালে গিয়ে নাম নিবন্ধন করবেন।এতে কিছু ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে।ডকুমেন্ট একবারে আপলোড করা সম্ভব না হলে সেগুলো সংগ্রহ করে আপলোড করবেন।
সবগুলো ডকুমেন্ট আপলোড হয়ে গেলে তারা আপনাকে ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রি করে নেবে।আর রেজিস্ট্রি হয়ে গেলে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা যখন যুক্তরাজ্যে আসবেন তখন আপনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এনআইডি কার্ড পেয়ে যাবেন।এ ব্যাপারে হাইকমিশনরে কনসুলার সেকশনে যোগাযোগ করলেও বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে। হাইকমিশনার সাইদা মোনা তাসনিম বলেন, “ব্রিকলেনের ওয়েলফেয়ার সেন্টারটিতে একসময় কনস্যূলার সেবা দেয়া হতো।কিন্ত আজানা কারণে প্রায় ১০ বছর এই সার্ভিস বন্ধ ছিলো।তবে গত বছরের শেষ দিক থেকে আমরা আবারও সার্ভিস শুরু করেছি।গত নভেম্বর ও জানুয়ারিতে দুইটি কনসুলার ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।আগামী জুলাই মাসে আরো একটি সার্জারি অনুষ্ঠিত হবে।এই সার্ভিস আমরা অব্যাহত রাখবো । তিনি বলেন, কনসুলার সার্ভিস শুরু করার পর ব্যাপক সাড়া মেলেছে।আমরা চাই কমিউনিটির মানুষের দোরগোড়ায় আমাদের সেবা পৌঁছে দিতে।
হাইকমিশনের পাসপোর্ট সেকশনকে আরো সম্প্রসারণ করে কীভাবে প্রবাসীদের জন্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানো যায়-এমন প্রশ্নের জবাবে সাইদা মোনা তাসনিম বলেন, তিনি হাইকমিশনার নিযুক্ত হয়ে লন্ডন আসার দুইদিনের মাথায় হাইকমিশন ভবনের প্রতিটি বিভাগ সরেজমিন ঘুরে দেখেন।গ্রাউন্ডফ্লোরের পাসপোর্ট সেকশনে গিয়ে দেখেন সেখানকার অবস্থা খুবই নাজুক।কনসুলার সেবা গ্রহণে প্রবাসী বাংলাদেশীদের যেমন কষ্ট হচ্ছে, তেমনী সেবাদাতা কর্মকর্তাদেরও অসুবিধা হচ্ছে।কারণ পাসপোর্ট সেকশনটি একেবারেই সংকীর্ণ এবং অপরিচ্ছন্ন।তাই তাৎক্ষনিকভাবে মন্ত্রনালয়ের সাথে কথা বলে বরাদ্দ এনে পাসপোর্ট সেকশনের আধুনিকায়নে কাজ করেন।এখন আগের চেয়ে অনেক স্বাচ্ছন্দে মানুষ সার্ভিস নিতে পারছে।
হাইকমিশন ভবনের লাগোয়া একটি নতুন প্রোপার্টি প্রায় ৩ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে ক্রয় করা হয়েছে।সেখান থেকে এখন পাসপোর্ট ডেলিভারি দেয়া হয়।তাছাড়া যারা পাসপোর্ট কিংবা নো-ভিসার প্রয়োজনে আসেন তাদের জন্য নতুন প্রোপার্টিতে আমরা ওয়েন্টি রুম রেখেছি।কাউকে এখন আর বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে মেঘ বৃষ্টি খেতে হচ্ছেনা।আমরা আমাদের সাধ্যমতো প্রবাসীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের চেষ্টা করছি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদক মুহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী, জেনারেল সেক্রেটারি ও সাপ্তাহিক দেশ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ, ট্রেজারার সালেহ আহমদ, এসিসটেন্ট ট্রেজারার মোঃ আব্দুল কাইয়ূম, মিডিয়া এন্ড আইটি সেক্রেটারি মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান, ইভেন্ট এন্ড ফ্যাসিলিটিজ সেক্রেটারি মোঃ রেজাউল করিম মৃধা, নির্বাহী সদস্য আহাদ চৌধুরী বাবু, নির্বাহী সদস্য সারওয়ার হোসাইন, নির্বাহী সদস্য শাহনাজ সুলতানা ও আলোকচিত্রী খালেদ হোসাইন। হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেস মিনস্টার আশিকুন্নবী চৌধুরী, মিনিস্টার কনসুলার মোঃ মঈন খান, কাউন্সিলর মৌমিতা জিনাত ও প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ।