ড. জাকি রেজয়ানা:: ছবি ও ই-মেইল বার্তাসহ স্যু গ্রে এর পূর্ণ রিপোটৃ প্রকামি হওযার পরও বেশীরভাগ কনজারভেটিভ এমপি ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিয়ে ১৯২২ কমিটির কাছে হয়তো অনাস্থা ভোট দেবে না এবং বরিস জনসনকেই তাঁরা দলনেতা হিসেবে রাখতে চাইবে। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তা থেকে উদ্ভূত সমস্যাগুলোকে বরিস জনসনকে টিকিয়ে রাখার জন্যে একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হবে। কিন্তু ইতিহাস কি বলে? য্দ্ধু চলাকালে কি বৃটেনে নেতা বদল হয় নি?
ইরাক যুদ্ধ চলাকালে বৃটেনে দু’বার ক্ষমতার বদল হয়েছে। টনি ব্লেয়ারের উত্তরসূরী হয়েছিলেন গর্ডন ব্রাউন আর গর্ডন ব্রাউনের পর ক্ষমতায় এলেন ডেভিড ক্যামেরোন। উপসাগরীয় যুদ্ধের ক্ষেত্রেও যুদ্ধ শুরু হয়েছিল মার্গারেট থেচারকে দিয়ে কিন্তু Operation Desert Storm যখন শুরু হয়েছিল তখন কিন্তু ক্ষমতায় ছিলেন জন মেজর। এর ব্যতিক্রম ঘটেনি কোরিয়ান যুদ্ধের সময়ও। কোরিয়ার যুদ্ধ চলাকালে প্রথমে ক্লেমেন্ট এটলী ক্ষমতায় থাকলেও পরে উইন্ষ্টন চর্চিল দ্বিতীয়বারের মত ক্ষমতায় আসেন। এই যুদ্ধগুলোর সবই ছিল প্রক্ষি ওয়ার। যখন খোদ বৃটেনের মাটিতে যুদ্ধ হয়েছিল তখনও কি প্রধানমন্ত্রী বদল হয় নি?।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে দু’জন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় ছিলেন, প্রথমে হাবার্ট হ্যানরি ও পরে ডেভিড লয়েড জর্জ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালেও বৃটেনে দু’বার প্রধানমন্ত্রী বদল হয়েছে। নেভিল চেম্বারলিনকে দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়, তারপর পর্যায়ক্রমে ক্ষমতায় এলেন উইন্ষ্টন চার্চিল ও ক্লেমেন্ট এটলী।
আসল কথা হচ্ছে, বেশীরভাগ কনজারভেটিভ এমপি মেনে নিতে পারে বরিস জনসনের উত্তরসূরী হিসেবে এমন একজন এমপি পাওয়া যাচ্ছে না। ঋষি সুনাকের অনেকটা সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু পার্টি কেলেঙ্কারিতে পুলিশী জরিমানা ও পারিবারের অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারী ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সেই সম্ভাবনাটুকুও উবে গেছে। কাজেই কনজারভেটিভ এমপিগণ বরিস জনসনকে ধরেই আগামী নির্বাচনী তরণী পার হতে চাইছে।
কনজারভেটিভ এমপিদের মনে রাখা প্রয়োজন যে, পার্টিগেট বিষয়ে বরিস জনসনের আপাতত বিপদ সামাল দেওয়া হয়ে গেছে মনে করা হলেও ডমিনিক কামিংস কিন্তু ঘাপটি মেরে আছেন আর যে কোনো সময় পুরনো ক্ষতে নতুন করে প্রদাহ শুরু হতে পারে। সম্ভবত জুন মাসে নতুন করে নাটকীয়তা বাড়বে যদিও তাতে বরিস জনসনকে তখনই বিদায় নিতে হবে এমন কথাও বলা যাবে না