চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষার পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
রোববার (৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের চকবাজার জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সবগুলো মরদেহ ময়নাতদন্তের পাশাপাশি ডিএনএর নমুনা সংরক্ষণ করা হবে। পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে না। সিএমপি কমিশনার আমাদের এই নির্দেশনা দিয়েছেন।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪৫০ জন। তাদের মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীও রয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ এসেছে। লাশগুলো হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। সকাল ৯টার পর যে লাশগুলো আনা হয়েছে, সেগুলো চেনার উপায় নেই। পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ টেস্ট করা লাগতে পারে।
তিনি আরও বলেন, অধিকাংশরাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। তাদের তথ্য আমাদের কাছে নেই। আহতদের মধ্যে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৮৫ জন। সেই সঙ্গে সিএমএইচ, বেসরকারি হাসপাতাল পার্ক ভিউ, ন্যাশনাল হাসপাতাল ও মেট্রোপলিটনসহ বিভিন্ন হাসপাতালে অনেকে চিকিৎসাধীন আছেন। কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন জানিয়েছেন, আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ কর্মী নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২১ জন। আহতরা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন। কয়েকজন কর্মীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
অগ্নিকাণ্ডে নিহত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর মধ্যে একজনের নাম মনিরুজ্জামান (৩২)। অন্যদের নাম জানা যায়নি। নিহতদের মধ্যে আরও চার জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন-মোমিনুল হক, মহিউদ্দিন, হাবিবুর রহমান ও রবিউল আলম।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে তীব্রতা কিছুটা কমেছে। ইতোমধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য আমরা নিরাপদে অবস্থান করছি। পানির ব্যবস্থা করে আবারও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা হবে।