লন্ডন অফিস:বরিস জনসন।বৃটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।২০১৯ সালে বিতর্কের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতা গ্রহন করেন কনজারভেটিভ পাটির এ নেতা।সময়ের সাথে সাথে বিতর্কের পাল্লা ভারি হয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে পৌছেচে।ফলে দলের সংসদ সদস্যদের আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয় সাবেক এ মেয়রকে। সোমবার(০৬মে)কনজারভেটিভ দলের সংসদ সদস্যরা ভোট দেন পাটির লিডার হিসাবে বরিস জনসন থাকবেন কি থাকবেন না।তবে অনাস্থা ভোটে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তিনি।যার ফলে আপাতত সংকট থেকে ইজ্জত রক্ষা হয়েছে,তবে পুরোপুরি যে মুক্ত তা বলা যাবেনা।কারণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে একই ভাবে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছিলেন,বরিসের চেয়ে বেশী ভোট পেয়ে আস্থা ভোটে রক্ষা হলেও ছয় মাসের মধ্য বিদায় নিতে হয় তাকে।
এদিকে,সোমবার যুক্তরাজ্য সময় বিকাল ৬ টায় গোপন ব্যালটের মাধ্যমে হাউজ অব কমন্সে ভোটাভোটি অনুষ্টিত হয়।এর মধ্যে বরিস জনসনের পক্ষে ২১১ জন সংসদ সদস্য ভোট দেন এবং বিপক্ষে ১৪৮ জন সংসদ সদস্য ভোট।বেশীর ভাগ সদস্য দলের লিডার হিসাবে বরিস জনসনের পক্ষে ভোট দেওয়ায় এ যাত্রায় রক্ষা্ পেয়েছেন তিনি।বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পান প্রায় ৫৯% ভোট,আর বিপক্ষে পড়ে প্রায় ৪১% ভোট।দেশটির পার্লামেন্টের ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্রাডি ভোটের ফলাফল ঘোষনা করেন।ভোটে আগে বরিস জনসন বলেন,আমার বিশ্বাস আপনারা আমাকে আবার বিজয়ী করবেন,আপনাদের জন্য আমি আবার বিজয়ী হব।লকডাউনের মধ্যে মদপানের পাটি করায় দলের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিলে ভোটের আয়োজন করা হয়।