ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও ব্যবসায়ী গাজী আনিসকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের (হেনোলাক্স গ্রুপ) মালিক নুরুল আমিন এবং তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনকে আটক করেছে র্যাব।
আজ মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গায়ে আগুন দিয়ে গাজী আনিসের মৃত্যুর ঘটনা নির্মম। তার মৃত্যুর পর এ ঘটনায় র্যাব ছায়া তদন্ত করে। এরপর র্যাব-১ এর একটি দল রাতে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন গাজী আনিস। খবর পেয়ে শাহবাগ থানা-পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। সেখানে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আজ মঙ্গলবার ভোরে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গাজী আনিস।
গাজী আনিসের ভাই নজরুল ইসলাম আজ দুপুরে হেনোলাক্স গ্রুপের মালিক এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
গাজী আনিসের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি বাজার এলাকায়। তিনি একসময় কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
গতকাল শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মো. আলী নামের গাজী আনিসের এক বন্ধু বলেছিলেন, আনিস হেনোলাক্স কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাবেন। কিন্তু কোম্পানি তার পাওনা টাকা দিচ্ছে না। এ নিয়ে এর আগে মানববন্ধন করেও কোনো লাভ হয়নি। আজ গায়ে আগুন দিয়েছেন।
আত্মহত্যাকারী গাজী আনিস নিজেও ফেসকুক স্ট্যাটাসে জানান, তিনি হেনোলাক্সের মালিকের কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাবেন। এ টাকা তিনি অনেক চেষ্টা করেও পাচ্ছেন না বলে জানান।