গণতন্ত্রপন্থি কর্মীসহ চারজনের ফাঁসি কার্যকর করেছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। আজ সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোব্যাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের বরাতে এ তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, গণতন্ত্রপন্থি কর্মী কিয়াও মিন ইউ, সাবেক আইন প্রণেতা ও হিপ-হপ শিল্পী ফিও জেয়া থাও, হ্লা মিও অং ও অং থুরা জাও। তাদের বিরুদ্ধে নৃশংস ও অমানবিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতার অপরাধে জানুয়ারিতে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। যে বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বে দেশটির ক্ষমতা দখল করে।
সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) সাবেক আইনপ্রণেতা ফিও জেয়া থাও এবং গণতন্ত্রপন্থি জনপ্রিয় নেতা খ মিন ইউ সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত হন। বাকি দুইজন হ্লা মিও অং ও অং থুরা জাওকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কারণ হলো- তারা এমন এক নারীকে হত্যা করেছেন যিনি সেনাবাহিনীকে তথ্য সংগ্রহ করতেন।
তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা যখন দেওয়া হয় তখন জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও হিউম্যান্ট রাইটস গ্রুপ নিন্দা জানিয়েছে। এ ঘটনার পর বিবৃতি দেয় জাতিসংঘ। তাদের দুইজন বিশেষজ্ঞ পরিকল্পিত মৃত্যুদণ্ডকে জনগণের মধ্যে ভয় জাগানোর একটি ‘জঘন্য প্রচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছেন।
অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ২ হাজার ১০০ জন নিহত হয়েছে।
এদিকে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গাম্বিয়ার করা মামলায় মিয়ানমারের প্রাথমিক আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে)। গত ২২ জুলাই দ্য হেগ শহরে আদালত এই রায় দেয়।
মামলার শুনানির সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, গণহত্যা কনভেশনের সদস্য হিসেবে গাম্বিয়া এই মামলা করতে পারে এবং মামলার যোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে আদালত মামলা এগিয়ে নিতে পারে।