আবারও জ্বলে উঠল মেসি-নেইমার-এমবাপের জুটি। রসায়ন জমে ক্ষীর! মৌসুম শুরুর আগে এবং পরেও এই ত্রয়ীর মধ্যকার সম্পর্কের মধ্যে ভাটা পড়ে এমন খবর প্রকাশ পেয়েছিল মোটামোটামুটি সব গণমাধ্যমে। তবে এবার মাঠের খেলায় সেসবের বিন্দুমাত্র আঁচ পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের সম্মিলিত নৈপুণ্যে লিগ আঁ’তে উড়ছে পিএসজি।
পাঁচ ম্যাচের চারটিতে জিতে এখন লিগের শীর্ষে রয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। লিগে সর্বশেষ ম্যাচে তুলুসের বিপক্ষে ৩-০ গোলে সহজ জয় পেয়েছে পিএসজি। দলটির হয়ে গোল পেয়েছেন নেইমার, এমবাপে এবং হুয়ান বের্নাত। গোল না পেলেও নেইমার এবং এমবাপেকে দিয়ে গোল করিয়েছেন মেসি।
তুলুসের মাঠ স্টেডিয়ামে মিউনিসিপালে ম্যাচের শুরু থেকে দাপটের সঙ্গে খেলে পিএসজি। দ্বিতীয় মিনিটেই ম্যাচে এগিয়ে যেতে পারত তারা। তুলুসের বক্সের ভেতর জটলার মধ্যে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন মেসি এবং এমবাপে, তবে তাদের শটগুলো জটলা পেরিয়ে জালে প্রবেশ করতে পারেনি। নবম মিনিটে ফের গোলের দারুণ সুযোগ পায় পিএসজি, বক্সের ভেতর বল পেয়েছিলেন মেসি, তবে সেখান থেকে যে শটটি নিয়েছিলেন এই আর্জেন্টাইন তাতে পর্যাপ্ত জোর ছিল না।
ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখলেও তুলুসের গোল মুখ উন্মুক্ত করতে ৩৭ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় সফরকারীদের। মেসির রক্ষণচেরা পাস ধরে নেইমার বল জালে জড়ালে ম্যাচে প্রথম এগিয়ে যায় পিএসজি। সেই গোল নিয়ে অবশ্য কিছুটা জলঘোলা হয়, মেসির পাস নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সময় নেইমার অফসাইড পজিশনে ছিলেন কিনা তা চেক করে ভিএআর, শেষ পর্যন্ত গোলটিকে বৈধ বলে ঘোষণা করেন ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি।
প্রথমার্ধের বাকি সময় অনেক চেষ্টা করেও আর বল তুলুসের জালে পাঠাতে না পারায় ১-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যান মেসি-নেইমাররা। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য গোল পেতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। ৫০ মিনিটে মেসির কাটব্যাক থেকে সহজ ফিনিশে ব্যবধান বাড়ান এমবাপে।
ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে তুলুসের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকে পিএসজি। ৯০ মিনিটে এমবাপের শট বারপোস্ট কাঁপিয়ে দিয়ে বক্সে থাকা ডিফেন্ডার বের্নাতের সামনে, সেখান থেকে লক্ষ্যভেদ করতে কোনো ভুল হয়নি এই স্প্যানিশের।