২০২০ সালের মতো এবারও বিদেশি খেলোয়াড় ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা মহানগরী টেবিল টেনিস লিগ। করোনার কারণে এক বছর বিরতি দিয়ে লিগ শুরু হচ্ছে ১৩ অক্টোবর। ৮ দিনব্যাপি লিগ শেষ হবে ২০ অক্টোবর। দলবদল হবে ৪ থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত।
শনিবার, বিকাল পাঁচটায় ঢাকা মহানগরী টেবিল টেনিস লিগ কমিটির সভা বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সাইদুল হক সাদী ও সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব, মো. আসাদুজ্জামান বাদশা ।
ঢাকা মহানগর টেবিল টেনিস লিগ কমিটির সভা শেষে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সহসভাপতি খন্দকার হাসান মুনীর জানিয়েছেন, ‘এবারের লিগের পৃষ্ঠপোষকতা করবে ওয়ালটন। সভায় মহিলা লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেডের প্রতিনিধি, প্রিমিয়ার ডিভিশন চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র লিমিটেডের প্রতিনিধি, প্রথম বিভাগ চ্যাম্পিয়ন ধানমন্ডি সেন্ট্রালের প্রতিনিধিসহ, পাললিক, মেরিনার্স, এ্যাজাক্স, ওয়ারী, বয়েজ ক্লাব, টিটি অ্যাকাডেমি প্রমিজিং জুনিয়র, ঢাকা ওমেন্স, ঢাকা ইয়াংসের প্রতিনিধিসহ ২৫টি ক্লাবের মধ্যে ২১টি ক্লাবের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।’
সভায় এশিয়ান টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে ২০তম, সাউথ এশিয়ান জুনিয়র ও ক্যাডেট টুর্নামেন্টে স্বর্ণপদক, কমনওয়েলথ গেমস এবং ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার জন্য লিগ কমিটির পক্ষ থেকে দল সমূহকে অভিনন্দন জানানো হয়।
লিগে বিদেশি খেলোয়াড় নিষিদ্ধকরণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সহসভাপতি খন্দকার হাসান মুনীর বলেছেন, ‘মূলতঃ কয়েকটি কারণে বিদেশি খেলোয়াড় রাখা হয়নি। প্রথমত করোনা পরবর্তীতে ক্লাবগুলোর আর্থিক অবস্থা ভালো না। যে কারণে, ২/১ টি ক্লাব বিদেশি খেলোয়াড় রাখার প্রস্তাব করলেও পরে সর্বসম্মতিক্রমে বিদেশি না রাখার সিদ্ধান্ত হয়। দ্বিতীয় কারণ এখন কোয়ালিটি খেলোয়াড় অনেক বেড়েছে। আগে চার-পাঁচজন ছিলেন। এখন ১৭-১৮ জন খেলোয়াড় আছেন। যে কারণে অন্তত চারটি দল শিরোপা লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে। তিন নম্বর কারণ হলো-বিদেশি থাকলে এক-দুইটা ক্লাব অনেক শক্তিশালী দল গড়তে পারবে। তাতে লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে না।’
বাংলাপেইজ/ এএসএম