পশ্চিম কেনিয়ার ৬১ বছর বয়সি গ্রামবাসী ডেভিড সাকায়ো কালুহানা নিজেকে রাজা সলোমনের সঙ্গে তুলনা করেন। বলা বাহুল্য, এই তুলনা কেবল তার জ্ঞানের জন্য নয়, পরিবারের আকারের জন্যও।
ডেভিডের স্ত্রী আছেন ১৫ জন, আর ডেভিডের ঔরসে তাদের ঘরে জন্ম নিয়েছে ১০৭ জন সন্তান! তবে এই ব্যক্তির দাবি, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বেশ সুখেই দিন কাটাচ্ছেন তিনি।
ডেভিডকে নিয়ে তৈরি হয়েছে তথ্যচিত্রও। আর হবে না-ই বা কেন? এমন মানুষ তো পৃথিবীতে বিরল। সম্প্রতি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেই তথ্যচিত্র। তাতে দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন বয়সি স্ত্রীদের সঙ্গে বেশ জমিয়ে সংসার করছেন ডেভিড। স্ত্রীদের মধ্যেও রয়েছে বেশ ভাল সম্পর্ক।
কী ভাবে ঘটল একাধিক স্ত্রীপ্রাপ্তি?
ডেভিডের দাবি, পুরো কৃতিত্ব তার অপরিসীম জ্ঞানের! তিনি একজন ইতিহাসবিদ। বিস্তর ইতিহাসের পুঁথি আয়ত্ত করাই তার সাধনা। ফলে, তাঁর জ্ঞানের ভান্ডারও বেশ সমৃদ্ধ। ডেভিডের মতে, তার এই মস্তিষ্ক সামলানো কোনও এক জন মহিলার পক্ষে কখনওই সম্ভব নয়। সে কারণেই তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন।
‘এক জন মহিলার পক্ষে আমি একটু বেশিই স্মার্ট!’ এমনটাই মনে করেন ডেভিড। তার এমন যুক্তিতে প্রতিবেশীরাও প্রতিবাদ করার সাহস রাখেন না; এবং সম্ভবত ডেভিডের আত্মবিশ্বাসী বক্তব্যে তারা খানিক বিশ্বাসও করেন। কারণ, হাজার হোক লেখাপড়া জানা জ্ঞানী মানুষ ডেভিড।
তথ্যচিত্রে ডেভিড জানান, স্ত্রীদের তিনি ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন—‘আরও আসছে!’ অর্থাৎ, ভবিষ্যতে তিনি আরও বিয়ে করবেন, তার আভাস সকল স্ত্রীকে আগে থেকেই দিয়ে রেখেছেন তিনি।
এক ডজনেরও অধিকসংখ্যক স্ত্রী ও শতাধিক সন্তানের প্রসঙ্গে তথ্যচিত্রে ডেভিডকে বলতে শোনা গেছে, তিনি আসলে রাজা সলোমনের মতো। সলোমন ছিলেন প্রাচীন ইসরায়েলের রাজা, যিনি সারা পৃথিবী দখলে এনেছিলেন, ছিলেন অত্যন্ত বিজ্ঞ। সলোমনের ছিল ১০০০ জন স্ত্রী। আর সেই রাজার সঙ্গেই বার বার নিজের তুলনা করেছেন কেনিয়ার এই ষাটোর্ধ্ব প্রৌঢ়।
কেনিয়ার বিভিন্ন উপজাতির লোক ডেভিডকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। ভ্রমণের জন্য দেওয়া খরচ ও সম্মানিক থেকেই বিরাট সংসার চালানোর খরচ উঠে আসে ডেভিডের। বাড়ির কাজ নিজেদের মধ্যে বাটোয়ারা করে নেন ডেভিডের ঘরণীরা। প্রত্যেকের জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন ডেভিড।
‘আমরা ভাল জীবন কাটাচ্ছি। একে অপরের প্রতি রয়েছে ভালবাসা। আমাদের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই,’ তথ্যচিত্রে এ কথা বলতে শোনা যায় ডেভিডের এক স্ত্রীকে।
সূত্র : আনন্দবাজার
বাংলাপেইজ/এএসএম