নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার রশিদ আহম্মেদ ও অন্তু হত্যা মামলার প্রধান আসামী আওলাদ সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন জিডির বাদী জাকির হোসেন।
নিখোঁজ স্বামীকে ফিরত পেতে জাকির হোসেনের স্ত্রী খোর্শেদা বেগম ফতুল্লা মডেল থানায় গত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
জিডিতে খোর্শেদা বেগম উল্লেখ করেন গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর অনুমান ৩টা ৩০ মিনিটে আমার স্বামী জাকির হোসেন (৫২) চরবক্তাবলীর বাসা বের হয় ।এরপর বাসায় ফিরে না আসায় তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ জাকির হোসেনের স্ত্রী খোর্শেদা বেগম ও নিখোঁজ জাকির হোসেনের মেয়ের স্বামী মোঃ জাকির হোসেন জানান, গত ১৬ সেপ্টম্বর এএসআই জাহিদ হাসান জুয়েল জাকির হোসেনের মোবাইলে ফোন দিয়ে বলেন, জিডির তদন্ত করতে আসছি। আপনি বক্তাবলী ফেরীঘাটে আসেন। জিডির বাদী জাকির হোসেনকে বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ফেরীঘাটে বসিয়ে রাখেন। সন্ধ্যা ৭টার পরে রশিদ মেম্বার তার অফিসে জাকির হোসেনকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে মেয়ের জামাতা জাকির হোসেন ও মোতালেব রশিদ মেম্বারের অফিসে গিয়ে জিডির বাদী জাকির হোসেনকে দেখতে পান। রশীদ মেম্বার তখন অশ্লীল ভাষায় তাদের গালিগালাজ করেন।
নিখোঁজ জাকিরের মেয়ে জামাতা আরো বলেন, রশীদ মেম্বারের ক্ষোভ দেখে ভেবেছিলাম আগামী লকাল সকালে জিডি প্রত্যাহার করবো। পুলিশ আসলে বলবো মেম্বারকে চিনিনা, জানিনা। তাতেও রশিদ আহম্মেদ মেম্বারের রাগ থামেনা। আমি আমার শ্বশুরকে সাথে নিতে চাইলে রশিদ মেম্বার বলে পুলিশ আইলে ওরে কিছুক্ষণ বাইরাইয়া থানায় ভরমু। এসআই হুমায়ুন-২, এসআই সাইফুল ইসলাম, এএসআই জাহিদ হাসান জুয়েল রশিদ মেম্বারের অফিসে আসলে আমার শ্বশুরকে রেখে আমি ও মোতালিব চলে আসি। সেদিন থেকে বৃদ্ধ জাকির হোসেনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজের দিন বৃদ্ধ জাকির হোসেনের পড়নে ছিল টি শার্ট ও প্যান্ট, গায়ের রং ফর্সা, চুলের রং কালো, উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি, ডান চোখে সমস্যা রয়েছে। যদি কোন হৃদয়বান ব্যক্তি খোঁজ পেয়ে থাকেন উল্লেখিত ০১৭৭৮৯৪৯৪২৩ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।