প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সংখ্যালঘুদের অব্যাহত দমন-পীড়ন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে হোটেল লোটে প্যালেসে ‘রোহিঙ্গা সংকট’ বিষয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এতদিনেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন রোহিঙ্গাকেও তাদের মাতৃভূমিতে ফিরতে না দেখেই গত মাসে আমরা দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকটের ষষ্ঠ বছরে পা দিয়েছি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টিতে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের বাস্তব পদক্ষেপ এবং প্রকল্প গ্রহণ করা দরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, কিছু নির্বাচিত ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে না। সংকট সমাধানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের রাজনৈতিক সদিচ্ছা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ মনে করে- রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন এবং একটি টেকসই সমাধান খুঁজে পেতে আন্তর্জাতিক ন্যায়-বিচার ও জবাবদিহিতার প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো শক্তিশালী ভূমিকা নেবে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ন্যায়-বিচার থেকে দায়মুক্তির বিরুদ্ধে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যে কোনো উদ্যোগকে সমর্থন করবে।
যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ এবং আসিয়ানের বর্তমান ফোকাস মিয়ানমারে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা- মিয়ানমারের জনগণের জন্য শান্তি ও ন্যায়-বিচার আনতে এবং নিজেদের জন্মভূমিতে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ এই সংস্থাগুলোর শক্তিশালী ভূমিকার জন্য অপেক্ষা করছে।
বাংলাপেইজ/এএসএম