রাশিয়া যতই ভুয়া গণভোট আয়োজন করুক তা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে না। এমনটা দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস। দখলকৃত অঞ্চলগুলো ইউক্রেনের অংশই থাকবে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। হুঁশিয়ারি দেন মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার। এরইমধ্যে নতুন করে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। খবর রয়টার্সের।
জাপোরিঝিয়া, খেরসন, লুহানস্ক ও দোনেৎস্কে গণভোটের পর চলছে ওই চার এলাকাকে রাশিয়ার সীমানাভুক্ত করার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। অনুমোদনের জন্য পুতিন প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে অঞ্চলগুলোর রুশপন্থি প্রশাসন।
রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ৪ অক্টোবরের মধ্যে দিতে পারে অনুমোদন জানিয়েছেন স্পিকার।
দখলকৃত এলাকাগুলোকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্তি নিয়ে রুশপন্থিদের উচ্ছ্বাস থাকলেও ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দাদের বেশিরভাগই। রাস্তায় আটকে জোর করে ব্যালটে টিক চিহ্ন নেয়া হয়েছে বলে দাবি অনেকের।
অবৈধ গণভোটকে কখনওই স্বীকৃতি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। মস্কোর ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
মস্কোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশনও। নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দিয়েছেন ইইউ কমিশনের প্রধান ভন দের লিঁও।
ভন দের লিঁও বলেন, ভুয়া গণভোটের স্বীকৃতি দেবো না। এই দখলদারিত্বের জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে ক্রেমলিনকে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় নতুন প্যাকেজের প্রস্তাব দিয়েছি। রাশিয়া যাতে সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করতে না পারে সে ব্যবস্থা করা হবে।
রাশিয়ার মিত্র সার্বিয়া ও কাজাখস্তানও গণভোটকে স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছে। আর দখলকৃত সব অঞ্চল পুনরুদ্ধার করার প্রত্যয় জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি।