দেশের ২৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২২ জন নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দেশের ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রাপ্ত জনবলের চাহিদার বিষয়ে কমিশনের জনবল বরাদ্দ কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম- এর সভাপতিত্বে সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহ আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনবল চাহিদা এবং ইউজিসি’র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগ কর্তৃক সুপারিশকৃত জনবলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন কমিটির সদস্য-সচিব ও কমিশনের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীর।
সভায় ২৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২২ টি জনবল অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯ টি বিশ্ববিদ্যালয় যারা শিক্ষক নিয়োগে নূন্যতম যোগ্যতা নির্ধারণ নির্দেশিকা অনুমোদন করেছে তাদেরকে ১৭৪ টি জনবল নিয়োগের ছাড়পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাকি ১৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ২৪৮ টি জনবলের ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। তারা শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশিকা সিনেট বা রিজেন্ট বোর্ডে অনুমোদন করলে এসব জনবলের ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
জনবল বরাদ্দ বিষয়ে প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, প্রথমবারেরমতো ইউজিসি জনবল বরাদ্দে নির্ধারিত চারটি ছকের (শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি ও আউটসোর্সিং) মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় জনবলের সংখ্যা নির্ধারণ করেছে।
যেসকল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ নির্দেশিকা সিনেট বা রিজেন্ট বোর্ডে পাশ করে করেছে শুধুমাত্র তাদেরকে জনবল নিয়োগের ছাড়পত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ নির্দেশিকা অনুমোদন করেছে ০৯ টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭৪টি জনবল নিয়োগের ছাড়পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাকি ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট বা রিজেন্ট বোর্ডে শিক্ষক নিয়োগে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ নির্দেশিকা অনুমোদিত হলে জনবল নিয়োগের ছাড়পত্র দেয়া হবে। সভায় এসব বিশ্ববিদ্যায়ের জন্য মোট ২৪৮টি জনবল অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম উল্লেখ করেন, এবার ইউজিসি টিচিং লোড ক্যালকুলেশন নীতিমালার আলোকে জনবলের চাহিদা নিরূপন করেছে। তবে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ নীতিমালার আলোকে নিজেরাই জনবলের চাহিদা নিরূপন করে ইউজিসিতে পাঠাবেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাড়কৃত জনবলের ৮০ শতাংশ নিয়োগ প্রদান করার পর টিচিং লোড ক্যালকুলেশন নীতিমালার ভিত্তিতে জনবল প্রাপ্ত হলে পুনরায় জনবলের চাহিদা ইউজিসিতে প্রেরণ করতে পারবে।
বাংলাপেইজ/এএসএম