মোঃ আশিকুল ইসলাম আশিক, রাজধানীর পল্লবী থানার অন্তর্গত ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের সদ্য সাবেক সাধারন সম্পাদক। তূণমূল থেকে উঠে আসা এই রাজনীতিবিদ আসন্ন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কমিটির সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সবার থেকে এগিয়ে রয়েছে।
যদিও তাকে ঘিরে রয়েছে অনেক অনেক ষড়যন্ত্রও। তবুও কিছুদিনের মাঝে ঘোষনা হতে যাওয়া ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে অপ্রতিদ্বন্ধী মোঃ আশিকুল ইসলাম আশিক।
মোঃ আশিকুল ইসলাম আশিকের জন্ম একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। স্থানীয় গরিব-দুঃখীদের মাঝে তার পূর্ব পুরুষদের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার কারণে এলাকায় খুবই জনপ্রিয় ছিলো তার পরিবার।
তার দাদা ডাক্তার নাসির উদ্দিন সেইকালে দান খয়রাতের কারণে স্থানীয়ভাবে খুবই জনপ্রিয় ছিলো। যার প্রেক্ষিতে তার বাবা সালাউদ্দিন আহমেদ পাঁচবাগ ইউনিয়নের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন। এছাড়াও রাজধানীর পল্লবীর মুসলিম বাজার এলাকায় ময়মনসিংহ ট্রেডার্স-এ সৎভাবে পাইকারী ব্যবসা পরিচালনার কারণে এবং স্থানীয় ভাবে অসংখ্য মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করার কারণে তৈরী হওয়া জনপ্রিয়তার প্রেক্ষিতে পিতার হাত ধরে আশিক রাজনীতিতে প্রবেশ করে।
সক্রিয় কর্মী হিসেবে ১৯৭৯ সালে বৃহত্তর ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কর্মি হিসেবে ভূমিকার কারণে তাকে বৃহত্তর ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য সচিব নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তীতে বৃহত্তর ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এরপর একে একে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের কার্যকরী সদস্য, মহানগর উত্তর যুবলীগের সহ-সভাপতি এবং সদ্য সাবেক পল্লবী থানাধীন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
তৃনমূল কর্মী হিসেবে একে একে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন কালে ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও, ১৯৯৩ সালে মিরপুরে হওয়া উপনির্বাচনে ভোট কারচুপির প্রতিবাদে হওয়া আন্দোলনে প্রথমসারিতে থেকে আন্দোলনকে বৃহৎ আন্দোলনে রূপ দেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে বিএনপির একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করতে মিরপুরে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
আশিক রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর থেকে হওয়া প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ছাত্রলীগ করাকালীন সময় থেকে এ যাবৎকাল পর্যন্ত সকল আন্দোলন, সংগ্রাম, মিছিল, মিটিং ও দলীয় কর্মসূচী সফল করতে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের এই সন্তান রাজনৈতিক কারণে অসংখ্য মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে কারা বরণ, নির্যাতন, মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন। তবুও ছিলেন দলের প্রতি নিবেদিত প্রাণ।
বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় রাজনৈতিক কারণে হওয়া মামলার কথা উল্লেখ করে ২ নং ওয়ার্ডে সভাপতি হিসেবে অপ্রতিদ্বন্ধী আশিকের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে এক ঘৃণ্য ঘড়যন্ত্র। এমনই দাবী আশিকের কর্মী-সমর্থকদের।
তারা বলছে, যখন আশিকের কেউ প্রতিদ্বন্ধী হতে পারছে না, তখনই কিছু বিপথগামী জনবিচ্ছিন্ন, ভূঁইফোড়, অনুপ্রবেশকারী নামধারী রাজনীতিজীবি আশিকের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে বিভিন্ন দফতরে। শুধু অভিযোগ প্রদান করেই থেমে না থেকে সেই সকল অভিযোগের কপি সরবরাহ করছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। যার ফলে সংবাদকর্মীরা মূল ঘটনা না জেনে অভিযোগের কপির উপর ভিত্তি করে সংবাদ পরিবেশন করার মাধ্যমে আশিককে থামাতে চাচ্ছে।
এই বিষয়ে মোঃ আশিকুল ইসলাম আশিক বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র করবে। তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার কারণে এই সব মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পিছনের রাস্তা দিয়ে সভাপতি হতে চাচ্ছে। আমি কেমন তা দলীয় নেতা-কমী ও স্থানীয়রা খুব ভালভাবে জানে। তাই এই সকল ষড়যন্ত্র করা অর্থহীন।
তিনি জানান. রাজনৈতিক কারণে অতীতে আমার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হয়েছিল। জামায়াত-বিএনপি জোট সরকার ও এরশাদ সরকারের সময় হওয়া সেই সব রাজনৈতিক মামলার কারণে আমাকে যেখানে পুরুষ্কার দিবে, সেখানে সেই সব মামলাকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে। যারা এই সব করছে তারা কখনও প্রকৃত আওয়ামীলীগের আদর্শ ধারন করে না।
তিনি আরো জানান, আমার নিজের টাকায় দলীলমূলে কেনা বাড়ীকে যেখানে বলছে, দখল করেছি; সেখানে সত্যি আমি বলার ভাষা হারিয়ে ফেলি।
সবশেষ তিনি বলেন, আমি আল্লাহ এর উপর ভরসা করি। সত্যের জয় হবেই। তাই ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র করতে থাকুক। আমি জনগনের ভালবাসাটুকুই চাই। পদ-পদবী নিয়ে আমার লোভ নেই। নেতা-কর্মীদের ইচ্ছের মূল্য দিতে গিয়ে আমাকে পদ নিতে হয়। পদ পেলেও আমি আওয়ামীলীগের জন্য আমার সাধ্যের সবটুকু করব, না পেলেও করব। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে এই পর্যন্ত এসেছি, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শেখ হাসিনার সৈনিক হিসাবে থাকবো ইনশাল্লাহ।