বয়স ত্রিশের কোটা অতিক্রম করলেই বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের প্রতি কোচদের একটা অনীহা কাজ করে। আর সেটা যদি বিশ্বকাপ ফুটবলের মত আসর হয় তাহলে তো কথাই নেই। বয়স ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যে থাকাটাই যেন দলে থাকার অন্যতম যোগ্যতা হয়ে পড়ে।
কারণ এই বয়সেই একজন খেলোয়াড় গতি-স্কিল আর ফর্মের তুঙ্গে থাকে। তবে কেউ কেউ এর ব্যতিক্রমও হয়ে থাকে। তাদের কাছে বয়সটা একটা সংখ্যা মাত্র। তারা ২০-২৫ বছরের খেলোয়াড়দের সাথে পাল্লা দিয়ে লড়াই করে টিকে থাকে।
এমন অনেক ফুটবলার আছেন যারা বেশি বয়সে বিশ্বকাপ খেলে নজির সৃষ্টি করেছেন। এবারের বিশ্বকাপেও থাকছেন তেমন কিছু তারকা।বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সেই বুড়োদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
দানি আলভেজ: ব্রাজিলিয়ান অন্যতম রাইট ব্যাক। এই বিশ্বকাপ যখন শুরু হবে তখন তার বয়স হবে ৩৯ বছর ৬ মাস ১৪ দিন। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপ খেলা ব্রাজিলিয়ান হতে যাচ্ছেন তিনি। এর আগে ১৯৬৬ সালে ৩৭ বছর বয়সে দালমা সান্তোস খেলেছিলেন। দানি আলভেজের এটা চতুর্থ বিশ্বকাপ। বর্তমানে মেক্সিকান ক্লাব উনামের হয়ে খেলছেন তিনি।
এর আগে বার্সেলোনা, পিএসজি, জুভেন্টাসের হয়ে দীর্ঘদিন খেলেছেন। মূলত রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে তাকে মধ্যমাঠ ও আক্রমণেও খেলতে দেখা যায়। এই বয়সেও পুরো মাঠজুড়ে থাকে তার বিচরণ। রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হলেও ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে ৯০৯ ম্যাচে ৬৭টি গোল করেছেন দানি।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ৫ বার ব্যালন ডি’অর জয়ী পর্তুগাল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের একজন। বিশ্বকাপ যখন শুরু হবে তখন তার বয়স হবে ৩৭ বছর ৯ মাস ১৫ দিন । এটা তার পঞ্চম বিশ্বকাপ।
এই বিশ্বকাপে তিনি পর্তুগালের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে তিনি ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলছেন। এর আগে রিয়াল মাদ্রিদ এবং জুভেন্টাসের হয়েও খেলেছেন তিনি। ক্লাব ও দেশের হয়ে ৮০০ টির বেশি গোল করেছেন রোনালদো। জাতীয় দলের হয়ে তার মোট গোল ১১৭টি।
থিয়েগো সিলভা: ব্রাজিলের অন্যতম সেন্টার ব্যাক তিনি। বিশ্বকাপ যখন শুরু হবে তখন তার বয়স হবে ৩৮ বছর ১ মাস ২৯ দিন।
বর্তমানে ইংলিশ ক্লাব চেলসির হয়ে খেলছেন তিনি। এর আগে পিএসজি এবং এসি মিলানের হয়েও খেলেছেন। এটি তার চতুর্থ বিশ্বকাপ। ক্যারিয়ারে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৭৫১ ম্যাচে ৪৭টি গোল করেছেন থিয়েগো সিলভা।
এইজি কাওয়াশিমা: তিনি জাপানের সর্বকালের সেরা গোলরক্ষকদের একজন। বিশ্বকাপ যখন শুরু হবে তখন তার বয়স হবে ৩৯ বছর ৮ মাস। গত ১২ বছর ধরে জাপানের গোলবার সামলাচ্ছেন তিনি।
এবারের বিশ্বকাপেও জাপানের প্রথম পচ্ছন্দের গোলরক্ষক। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপেও বেশ পারফর্ম করেছেন। এটা তার খেলা চতুর্থ বিশ্বকাপ। ফরাসি ক্লাব মেটজ এর হয়ে খেলেন কাওয়াশিমা।
পেপে: পর্তুগালের অন্যতম সেন্টার ব্যাক। বিশ্বকাপ যখন শুরু হবে তখন তার বয়স হবে ৩৯ বছর ৮ মাস ২৫ দিন। রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হলেও গোল করতে সক্ষম তিনি। ক্যারিয়ারে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৬৮১ ম্যাচে ৩৯টি গোল করেছেন। বর্তমানে এফসি পোর্তোর হয়ে খেলছেন তিনি। এর আগে রিয়াল মাদ্রিদ ও বেসিকটাসের হয়ে খেলেছেন তিনি। এটা তার খেলা চতুর্থ বিশ্বকাপ।
বাংলাপেইজ/এএসএম