রোমাঞ্চকর ফাইনালে স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতেছে বসুন্ধরা কিংস। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের স্বাধীনতা কাপের শিরোপা নেওয়ার সুযোগ ছিল । কিন্তু তারা সেটা পারেনি। ফলে ২০১৮ পর আবারও স্বপ্ন ভঙ্গ হলো দুইবারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে টাইব্রেকারে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতল কিংস। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ২-২ গোলে সমতায় থাকার পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলায়ও ছিল সমতা। এরপর টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে নেয় অস্কার ব্রুজোনের দল।
টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ৩০ সেকেন্ড পার হতে না হতেই বসুন্ধরাকে লিড এনে দেন মিগুয়েল ফিগেরা। লিড নিয়েও আক্রমণ থামেনি বসুন্ধরার। দশম মিনিটে রেজা খান জাদের হেড ক্রসবারে আঘাত করে। পরের মিনিটে ফিগেরার শট ঠেকিয়ে দেন শেখ রাসেল গোলরক্ষক।
দ্বাদশ মিনিটে উদোর গোলে সমতায় ফেরে শেখ রাসেল। ৩০তম মিনিটে বসুন্ধরার তারেক গাজী পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বাপুকোকে ফাউল করলে পেনাল্টি পেয়ে যায় শেখ রাসেল। স্পটকিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি চার্লস দিদিয়ের। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল।
তবে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি শেখ রাসেল। ৪৩তম মিনিটে শেখ রাসেলের ইয়াসিন খান রবসন রবিনহোকে ফাউল করলে পাল্টা পেনাল্টি পেয়ে যায় বসুন্ধরা। স্পটকিক থেকে গোল করে বসুন্ধরার দলটিকে সমতায় ফেরান রবসন।
দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনও গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে প্রথম ১৫ মিনিটেও দুই দল জমাট রক্ষণ নিয়ে খেলে স্কোর পাল্টাতে পারেনি। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখান থেকে ম্যাচটা ৪-১ গোলে জিতে শিরোপা নিজেদের করে নেয় বসুন্ধরা কিংস।
টাইব্রেকারে প্রথম চারটি শটেই কিংসের হয়ে গোল করেন রোবিনহো, দরিয়েলতন, রেজা খানজাদেহ ও আনিসুর রহমান। কিন্তু শেখ রাসেলের প্রথম শটেই গোল করতে ব্যর্থ হন সোহেল রানা। দ্বিতীয় শটে হেমন্ত ভিনসেন্ট সফল হলেও তৃতীয় শটে খালেকুজ্জামানকে আটকে দেন আনিসুর রহমান। এতেই শিরোপা উৎসবে মাতে বসুন্ধরা কিংস।
বাংলাপেইজ/এএসএম