জাকির হোসেন, বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধ: বরিশালের বানারীপাড়ার চাখারে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও এবি ব্যাংকের কর্মচারী সোহাগ হাওলাদারকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোহাগ চাখার ইউনিয়নের বলহার গ্রামের মো. ছত্তার হাওলাদারের ছেলে।
৫ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে তাকে বরিশালে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর রবিবার রাতে ভিকটিম ওই ছাত্রীর পিতা সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে চাখার থেকে সোহাগকে গ্রেফতার করে।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, বানারীপাড়ার সীমান্তবর্তী ঝালকাঠি সদর থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে বানারীপাড়া উপজেলার চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ওই ছাত্রী চাখারে সোহাগ হাওলাদারের পরিচালিত কোচিং সেন্টারে তার কাছে প্রাইভেট পড়তো। সোহাগ ওই ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রস্তাব দিত। এতে সে রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে কোচিং সেন্টারে তাকে আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে তার কিছু অশ্লীল ছবি তোলে। পরে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া ও বিয়ের প্রলোভনে কোচিং সেন্টারের মধ্যে সোহাগ তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় তাকে ধর্ষণ করা হয়। ওই ছাত্রী তাকে বিয়ের কথা বললে গত ২৯ নভেম্বর সকালে সোহাগ তাকে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর বাবা তাকে উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ প্রসঙ্গে, বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন, এঘটনায় মামলা নিয়ে আসামী সোহাগকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, সোহাগের সংগে সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের জেরে তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় যান। বিষয়টি নিয়ে চাখারে একাধিকবার শালিশ বৈঠক ও হয়। শালিশ বৈঠকে বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে সিদ্দিকুর রহমান তার মেয়ের হারানো সম্ভ্রামেরর বিচার পেতে মামলা দায়ের করেন।