রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কটা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ২০০৯ সালে ফর্মের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে রিয়ালে আসেন পর্তুগিজ সুপার স্টার। এরপর স্প্যানিশ জায়ান্টদের হয়ে নয়বছর নিজের রঙে রাঙিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে পাড়ি জমান ইতালির ক্লাব জুভেন্টাসে। সেখানে গিয়েও প্রথম একটা সিজন ভালোই কাটে তার। তবে এরপরই চিরচরিত ফর্ম হারাতে শুরু করেন রোনালদো। তার পর ফিরে আসেন নিজের প্রথম ক্লাব ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডডে। এখানে শুরুর মৌসুমটা ভালো কাটে। হয়েছিলেন কয়েকবার ক্লাবের সেরা খেলোয়াড়। কিন্তু পরের সিজন থেকেই শুরু বিপত্তি।
ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সুযোগ না পাওয়ায় এ বছরের শুরু থেকে সম্পর্কের চির ধরে রোনালদোর সঙ্গে। তবে অনেকটা জোর করেই রেখে দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু বছর না ঘুরতেই সম্পর্কে চির ধরে। ক্লাব ও কোচ সম্পর্কে বিরদ্ধপূর্ণ মন্তব্য করে রোষাণলে পড়েন পর্তুগিজ তারকা। শেষমেষ বাধ্য হয়েই তাকে ছেড়ে দেয় ইউনাইটেড।
কোনো ক্লাব পাওয়ার আগে নিজেকে ফিট এবং প্রস্তুত করতে রিয়ালের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে অনুশীলন শুরু করেছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’ অর জয়ী এ তারকা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আপাতত কোনো ক্লাব না থাকায় সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে অনুশীলন করতে চাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন রোনালদো। রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্টিনো পেরেজ তাকে বলেন, ‘অবশ্যই, কেন নয়। এটা তো তোমারই ঘর-বাড়ি।’
তবে রিয়ালের নিয়মিত খেলোয়াড়দের সঙ্গে অনুশীলন করার অনুমতি পাচ্ছেন না রোনালদো। চার বছর পর ক্লাবে ফিরে তাকে অনুশীলন করতে হচ্ছে একাকী। বুধবার রিয়ালের ভালদেবেবাস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে একাই ওনুশীলন করেছেন রোনালদো। আগামী কিছুদিন এখানেই একা অনুশীলন করবেন তিনি।
বাংলাপেইজ/এএসএম