বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশ নিহত হয়েছে। এই ঘটনার ‘রহস্য’ জানতে র্যাব সদরদফরে যান ২১ সদস্যের একটি দল।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) র্যাব সদরদফতরে বিকাল ৪টার একটু আগে বুয়েটের একটি বাসে করে আসেন তারা। তিন ঘণ্টারও অধিক সময় সেখানে অবস্থান করলেও তারা কোনও মন্তব্য করেননি সাংবাদিকদের কাছে। ২১ সদস্যদের সবাই বুয়েটের শিক্ষার্থী এবং নিহত ফারদিনের সহপাঠী।
নাম পরিচয় গোপন রেখে শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় সাংবাদিকদের একজন বলেন, বৃহস্পতিবার আমরা ডিবি অফিসে গিয়েছিলাম। সেখানে ফারদিন আত্মহত্যার কিছু ব্যাখ্যা আমাদের দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বেশ কিছু কনফিউশন ছিল। সেই কনফিউশনগুলো র্যাব থেকে আমাদের জানানো হবে। সেই বিষয়গুলো জানতে র্যাব সদরদফতরে এসেছিলাম। র্যাব যে বিষয়গুলো বলেছে সেই বিষয়গুলো নিয়ে ক্যাম্পাসের আরও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে আপনাদের জানানো হবে। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই সাংবাদিকদের সঙ্গে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
আত্মহত্যার বিষয় নিয়ে আপনাদের কী মনে হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, সেই বিষয়গুলো খুব শীঘ্রই আপনাদেরকে জানানো হবে। আলোচনার পর যা উঠে আসবে তাই জানানো হবে।
কী কী বিষয়ে কনফিউশন রয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফারদিন ব্রিজের উপরে যাওয়া। ব্রিজ থেকে লাফ দেওয়া। তার আগে চনপাড়া বস্তিতে যাওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠা। এইসব বিষয়গুলো নিয়ে কনফিউশন রয়েছে। সেই কনফিউশন গুলো ক্লিয়ার হওয়ার জন্য র্যাব সদর দফতরে তিন ঘণ্টার মত মিটিং হয়েছে। যে ফ্যাক্ট গুলো ছিল সেগুলো র্যাবের পক্ষ থেকে ক্লিয়ার করছে।
এদিকে র্যাব সদরদফতরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, বুয়েটের ২১ জন শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল আমাদের কাছে ফারদিনের মৃত্যু নিয়ে তাদের কনফিউশন প্রসঙ্গে জানার জন্য এসেছিলেন। তারা আমাদের (র্যাব) কাছে ওই দিন (ঘটনার দিন) একা ছিলেন কি-না এবং তাকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল কি না? তার তথ্য প্রমাণ প্রসঙ্গে জানতে চেয়েছিলেন। পরে আমাদের তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণ তাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাপেইজ/এএসএম