করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় বুস্টার দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে এই কাযক্রম চালু করেছে সরকার।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সারা দেশে সিটি করপোরেশন, মেডিকেল কলেজ, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে একযোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে বয়স্ক জনগোষ্ঠী ও ফ্রন্টলাইনারসহ পাঁচ শ্রেণির মানুষকে দেওয়া হয় এ টিকা। চতুর্থ ডোজ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির। এ সময় তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের টিকার অ্যান্টিবডি বেশি দিন থাকে না। সেজন্য চতুর্থ ডোজ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
ডা. আহমেদুল কবির বলেন, দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার চতুর্থ ডোজ নেওয়ার উপযোগী। তবে আপাতত ৬০ বছর বা এর বেশি বয়সি ব্যক্তি, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বা এর বেশি বয়সি জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জনগোষ্ঠী, গর্ভবতী নারী ও দুগ্ধদানকারী মা এবং সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত ব্যক্তিরা করোনাভাইরাসের টিকা পাবেন।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ৪৬০ জনকে চতুর্থ ডোজ দেওয়া হয়েছে। আজ (গতকাল) থেকে সারা দেশে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের প্রায়োরিটিতে সম্মুখসারির যোদ্ধা, গর্ভবতী মায়েরা আছেন।
বাংলাপেইজ/এএসএম