ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বেড়াতে গিয়েছিল বাংলাদেশি এক নারী। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাল হল তার। চলন্ত ট্রেনে ওঠার সময় কাটা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। বুধবার সকালের দিকে প্রদেশের নদিয়ার কৃষ্ণনগর রেল স্টেশনে এই দুর্ঘটনা ঘটেছছে।
নিহত নারীর নাম পূর্ণিমা সাহা (৫৬)। বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ভাটিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিনি। পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় আত্মীয়স্বজন রয়েছে পূর্ণিমার। স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রায় দেড় মাস আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান তিনি।
বুধবার নবদ্বীপ ও মায়াপুরে তীর্থ সেরে এবং আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার পর রানাঘাট হয়ে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে গোপালগঞ্জে ফেরার কথা ছিল তার। এ জন্য সকালের দিকে নবদ্বীপ থেকে কৃষ্ণনগর স্টেশনে যান তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কৃষ্ণনগর থেকে রানাঘাটগামী সকাল ৬টা ২০মিনিটের ট্রেন ধরতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশি ওই নারী। কিন্তু স্টেশনে পৌঁছানোর পর দেখেন ট্রেনটি যাত্রা শুরু করেছে। পরে দৌড়ে চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের ফাঁকে চলে যায় তার শরীর। এর ফলে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
পরে মরদেহ উদ্ধার করে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। খবর পেয়ে ওই নারীর আত্মীয়স্বজনরা কৃষ্ণনগর রেলপুলিশের সঙ্গে দেখা করেন এবং জেলা হাসপাতালে যান।
বাংলাপেইজ/এএসএম