আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি। এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ ফিরেছিলেন। তাই এই কারণে এই দিনকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসাবে পালন করা হয়। যা কারণে এই দিনটিকে বাঙালি জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিসস হিসাবে ধরা হয়। তিনি পাকিস্তানে ২৯০ দিনের মতো ছিলেন। যার কারণে কারাগারে থাকার পর ১৯৭২ সালের এই দিনে বেলা ১টা ৪১ মিনিটে স্বাধীন দেশের মাটিতে পা রাখেন মুক্তির মহানায়ক। তার আগমনের ছোঁয়ায় পূর্ণতা পায় মহান স্বাধীনতা।
সেদিন বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রাণবন্ত অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান।
বিকেল ৫টায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন। স্বয়ং জাতির জনক তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’। সেই থেকে দিনটি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালিত হয়।
জীবনমৃত্যুর কঠিন চ্যালেঞ্জের ভয়ঙ্কর অধ্যায় পার হয়ে সারাজীবনের স্বপ্ন, সাধনা ও নেতৃত্বের ফসল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে মহান এ নেতার প্রত্যাবর্তন স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় পূর্ণতা পায়। এ কারণেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি একটি অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
প্রতি বছরে মতো এবারও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হবে। জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন এবং আলোচনা সভা, দোয়া, শীতবস্ত্র বিতরণসহ নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাংলাপেইজ/এএসএম